Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামান্য বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় পাঠদান

জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস

সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৫৭নং জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারনে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় ব্যহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। এতে বিদ্যালয়ের ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কখনো খোলা মাঠে, কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে। দেশ ভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা এই ভবনটি ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটিতে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সাজেদা খাতুন জানান, ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমসিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভালো। তিনি আরো জানান, এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে ওদের নিয়ে কোথায় যাবো আমরা তাই ভাবছি।
প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিজয় ও মুনতাসীর জানায়, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় তাদের মন বসে না।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জি.এম রাজগুল বাহার জানান, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে দেখভাল নেই।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা আমি জানি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম রাখা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা হয় না। না হওয়ার কারণটা আমার জানা নেই। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা এর দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ্টি

৫ অক্টোবর, ২০২২
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ