পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় আইনের প্রয়োগ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। যদিও নিরাপদে সড়ক পারাপারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১৪টি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে নির্মিত ফুটওভার ব্রিজগুলো এখন আর ব্যবহার করছেন না পথচারীরা।
হাইওয়ে পুলিশ জনসাধারণকে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করার জন্য মাইকিংসহ নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালালেও তা আমলে নিচ্ছেন না তারা। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন সাধারণ লোকজন। এতে মহাসড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, দ্রুত এবং নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর করা হয়। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় দেশের প্রধান এ মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তরের পাশাপাশি মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনে জনসাধারণের নিরাপদে সড়ক পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১০৩ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় এ ধরনের প্রায় ১৪টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুর্বল নজরদারি আর যথাযথ আইন প্রয়োগ না করার কারণে এসব ব্রিজ ব্যবহার না করে জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন। এতে প্রায়ই যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঝরছে তাজা প্রাণ। এসব অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর কারণে স্বপ্ন ভাঙছে প্রিয়জনদের।
এদিকে মহাসড়কের পদুয়ার বাজার, ময়নামতি, চান্দিনা, মাধাইয়া, ইলিয়টগঞ্জ ও গৌরীপুর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজগুলোর অদূরে লো (নিচু) ডিভাইডারে মিডিয়াম গ্যাপ রয়েছে। তাই ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়ি না বেয়ে এসব গ্যাপ এবং লো ডিভাইডার দিয়ে জনসাধারণ মহাসড়ক পার হচ্ছেন। এছাড়া হাই ডিভাইডারের ওপর কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় ফুটওভার ব্রিজগুলো ব্যবহার না করেই দেয়াল টপকে মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।
ফুটওভার ব্রিজের ৫০-১০০ ফুটের মধ্যে লো ডিভাইডার থাকায় ২০ ফুট উচ্চতার ব্রিজের ৮০ ফুট সিঁড়ি ব্যবহার করতে অনীহাই বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে মহাসড়কে দুর্ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহাসড়কের ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন জানান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজটি রয়েছে সেটি জনসাধারণ আর ব্যবহার করছেন না। কারণ এখানে সড়কের এপার থেকে ওপার যাতায়াতের জন্য লো ডিভাইডার এবং পাশাপশি দুটি মিডিয়াম গ্যাপ রয়েছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, পথচারী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ যেন মহাসড়কে ব্রিজ ব্যবহার করেন এবং ঝুঁকি নিয়ে যেন মহাসড়ক পাড়ি না দেন সে লক্ষে হাইওয়ে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডারগুলোর ওপর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ হলে বাধ্য হয়ে জনসাধারণ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।