পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ঊনবিংশ শতাব্দির শেষভাগ। বাংলার মুসলমানদের তখন এক করুণ অবস্থা। তারা ভুলে গিয়েছিল ধর্মীয় ও জাতীয় মূল্যবোধ। ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে ইসলামী তাহযীব-তমদ্দুন ছেড়ে দিয়ে মুসলমানগণ বরণ করে নিয়েছিল বিজাতীয় আচার-ব্যবহার, চাল-চলন ও তাদের পোশাক-পরিচ্ছেদ। তারা হিন্দুদের অনুকরণে নামের আগে শ্রী লিখত, লুঙ্গির বদলে ধুতি পরত, মাথায় টিকি রাখত। এক কথায় হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি তথা ইসলাম গর্হিত কাজ ও বিশ্বাস ঘরে ঘরে সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। মুসলমানদের জাতীয় জীবনে নেমে এসেছিল ধর্মীয় চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম বিপর্যয়। এমনি সন্ধিক্ষণে মুসলিম সমাজের ঈমান, আকিদা, আমল ইত্যাদি বিষয় ইসলামী ভাবধারায় তরাক্কীর লক্ষ্যে বাংলার বিভিন্ন স্থানে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল বেশ কিছু আলোক বর্তিকা, যারা ইসলামী আদর্শ বিস্তারে স্বীয় জীবন উৎসর্গ করেছেন। যাবতীয় বাধা বিপত্তি, ত্যাগ তিতিক্ষা, দুনিয়াবী ভোগবিলাস উপেক্ষা করে ইসলামী তাহযীব-তমদ্দুন বিস্তারে নিজেদের মুসলিম সমাজের জন্য নিবেদিতপ্রাণ প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। ইতিহাসের পাতায় তারা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শাহ অলী উল্লাহ নামক এমনি একটি আলোকবর্তিকা কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার মুসলিম সমাজকে ঊষার আলোয় উদ্ভাসিত করতে বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিলো নিভৃত পল্লী মৌকারাতে। তার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে মুদ্রিত থাকবে। মানুষের মাঝে নৈতিকতাবোধ জাগাতে ইলমে শরীয়তের পাশাপাশি ইলমে তাসাউফ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিভিন্ন স্থানে খানকাহ স্থাপনসহ সর্বত্র ইলমে তাসাউফের তা’লীম জারী রেখেছিলেন তিনি। শাহ সূফি অলী উল্লাহ (রহ.) স্বীয় পীর মুজাদ্দিদে জামান কুতুবুল আকতাব শায়খুল মাশায়েখ আল্লামা শাহ নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) এর এজাযতক্রমে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বিশাল কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাদরাসা, মসজিদ, ইয়াতিমখানা, হিফজ্খানা। দিকে দিকে তাবলিগী সফর, ইসালে ছাওয়াব মাহফিলের সুষ্ঠু আয়োজন, সংগঠন কায়েম, সলফে সালেহীনের অনুসৃত নীতি অনুসারে নির্দলীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন যুগোপোযুগী কর্মপন্থার মাধ্যমে ‘আমর বিল মা’রুফ-নাহী আনিল মুনকার’ এই নীতি অনুশীলন করে সমাজের মাঝে কীভাবে সুন্নাতে নববী প্রতিষ্ঠা করা যায়, জীবন ভর তারই প্রচেষ্টা চালান তিনি। মহান প্রভূর অপার কৃপায় তার শ্রম, ত্যাগ-তিতিক্ষা বিফল হয়নি। ধীরে ধীরে সমাজের চেহারা বদলে গেল। মুসলমানগণ ধুতি ছেড়ে লুঙ্গি পরলো, টিকি ফেলে টুপি মাথায় তুলে নিল, কত বেনামাজি, ঘুষখোর, সুদখোর, গায়ক-বাদক, চোর-ডাকাত তার হাতে বায়াত গ্রহণ করে অলীর খাতায় নাম লেখালো তার ইয়াত্তা নেই। ইসলামের এক মৌলিক বিষয় হচ্ছে ইলমে তাসাউফ। শাহ সূফি অলী উল্লাহ (রহ.) এর জীবনে তাসাউফ ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে এ বিষয়ে জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই ইলমে তাসাউফের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে না। এমনকি এটিকে পরিত্যাজ্য বলে ধারণা করে; অপরদিকে অনেকে শরিয়তের নির্দিষ্ট গতি অতিক্রম করে তাসাউফ চর্চার নামে র্শিক-বিদায়াতে লিপ্ত। তারা নিঃসন্দেহে গোমরাহ এবং অপরকেও গোমরাহীর দিকে ঠেলে দেয়।
এ যুগ কম্পিউটার, ইন্টারনেটের যুগ। যার ফলে মহাশূন্য থেকে ভূগর্ভ, গ্রহ, উপগ্রহ , গভীর অরণ্য, সমুদ্রের তলদেশে বিশ্বের সর্বত্রই মানুষের সদম্ভ পদচারণা। কিন্তু কিসের দম্ভ? আজ মনে জাগে কত শত প্রশ্ন, কে দেবে তার জবাব? এ কোন জ্ঞান যা মানুষের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে বিনষ্ট করে দেয়। বিশ্ব আজ ভারসাম্য হারিয়ে অন্যায়, অত্যাচার, অনাচার ও হত্যাযজ্ঞের নরকীয় আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কেবলই প্রশ্ন, কোথায় সে জ্ঞান, যা অন্যায়, পাপাচার ও মিথ্যাচারকে দূর করে সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনবে। মানুষ পাবে সঠিক পথের দিশা, পান করবে সীরাতুল মুস্তাকীমের অমীয় সুধা। আর তাইতো আউলিয়ায়ে কিরামগণ এ দেশে হাজার হাজার মসজিদ মাদরাসা ও খানকা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাকে পান করিয়েছেন ইলমে তাসাউফ নামক শান্তির অমীয় সুধা। দেখিয়েছেন সিরাতুল মুস্তাকীম। এদের মধ্যে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা শাহ অলী উল্যাহ (রহ.) এবং তার প্রতিষ্ঠিত মৌকারা দরবার।
ইসলামী আদর্শ বিস্তারে মৌকারা দরবার: বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামী আদর্শ বিস্তারে নিরলস-নিঃস্বার্থ খিদমত করে যে সকল দরবার ও পীর-মাশায়েখগণ ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান, চির ভাস্বর হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম পীর অলী উল্যাহ (রহ.) ও মৌকারা দরবার অন্যতম। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার মানব সমাজের হেদায়াতের আলো এবং মারেফাতের তেজোদিপ্ত নূরের বিকিরণ ঘটানোর ক্ষেত্রে মৌকারা দরবারের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বিশাল সমুদ্র থেকে এক পেয়ালা পানি নিয়ে যেরূপ সমুদ্রকে পরিমাপ করা অসম্ভব ঠিক তদ্রুপ মৌকারা দরবারের বিশাল তাজদীদী কর্ম এ লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করা অসম্ভব। তবুও ক্ষুদ্র প্রয়াস।
তাজদীদী জীবনের সূচনা: বিদ্যার্জনের গভীর প্রত্যাশায় পীর কিবলা (রহ.) কৈশোরে ভর্তি হলেন ঢালুয়া মাদাসায়। সেখান থেকে নাহুম পর্যন্ত অধ্যায়ন করেন। এরপর জামাতে উলা (ফাযিল) পর্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অধ্যায়ন করেন গাজিমুড়া আলিয়া মাদরাসায়। পীর কিবলা (রহ.) বিদ্যার্জনের ক্ষেত্রে ছিলেন কঠোর অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী। পীর কিবলা (রহ.) ছিলেন অত্যন্ত মুয়াদ্দাব ও কোমল চরিত্রের অধিকারী। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আসাতাজায়ে কিরামদের স্নেহা¯পদে পরিণত হয়েছিলেন। মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণিতে অধ্যায়নের জন্য ছুটে যান বাংলাদেশের সর্ব প্রথম কামিল মাদরাসা ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদরাসায়। কিন্তু স্বীয় পীর ছারছীনা শরীফের কুতুবুল আকতাব আল্লামা শাহ সুফি নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) এর নির্দেশে গভীর আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়জিত হন। এ সময় থেকে মরহুম পীর কিবলা (রহ.) এর তাজদীদী জীবনের সূচনা।
জুমা সমস্যা সমাধানে মৌকারা দরবার: তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আহলে হাদীসের প্রভাব ছিল প্রকট। দক্ষিণ বাংলায় বাহাদুরপুরের পীর ছাহেবের প্রভাব থাকায় সেখানকার কেউই জুমার নামাজ পড়তো না। ঐ সময়টিতে মরহুম পীর কিবলা স্বীয় পীর কিবলার নির্দেশে জুমা সমস্যা নিরসনে আত্মনিয়োগ করেন। বিনা বহাছে, বিনা বিতর্কে, হাজার হাজার বেজুমাপন্থি তাদের বহু বছরের লালিত আকীদা আর অভ্যাস ত্যাগ করে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে জুমাপন্থিদের কাতারে এসে শামিল হন।
মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় মৌকারা দরবার: বাংলার মুসলিম সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মৌকারা দরবার শরীফ তার নিজস্ব স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য মাদরাসা। তারই এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর মৌকারা দারুচ্ছুন্নাত নেছারিয়া ফাযিল (অনার্স) কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসাকে কেন্দ্র করে ইলমে শরিয়ত ও মারিফতের পরিপক্ক একদল হাদী খাঁটি আলেমে দ্বীন তৈরি হবে। তারা সমাজের সর্বত্র ইসলামি আদর্শ বিস্তারে সহযোগী হবে। বাতিল ফেরকার বিরুদ্ধে অকুতভয় সংগ্রামে লিপ্ত হবে। এ ছিল মরহুম পীর কিবলার একমাত্র স্বপ্ন। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তার সে মহান আশা বিফলে যায়নি। যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদের নামে প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটি দারুসসুন্নাত নামের প্রতিফলন ঘটিয়ে স¤পূর্ণ গদিভিত্তিক দলীয় রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ ও ইখলাসের ভিত্তিতে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে সমৃদ্ধির সোপান ডিঙ্গিয়ে চলছে। বাংলাদেশের শেরা পাঁচটি মাদরাসার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে এ মাদরাসা। হাজার হাজার ছাত্র আজ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, জজ, ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেট, ইমাম, খতিবসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চালিয়ে যাচ্ছেন এই দরবারের বাগে ওয়ালিয়ার ফুটন্ত ফুলসম ছাত্রগণ।
ছাত্রাবাস ও লিল্লাহ বোর্ডিং প্রতিষ্ঠা: ছাত্রদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুজাসসাম নমুনায় গড়ে তোলা দেশের বর্তমান পরিবেশ একেবারেই অনুপযোগী। তাই প্রয়োজন সু-নিয়ন্ত্রিত আদর্শের শৃঙ্খল ও আবদ্ধ নির্মল পরিবেশ। এ লক্ষ্যেই মরহুম হুজুর কিবলা প্রতিষ্ঠা করেন বিশাল দারুসসুন্নাত ছাত্রাবাস। পাশাপাশি গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লিল্লাহ বোর্ডিং।
সংগঠন প্রতিষ্ঠা: এতদাঞ্চলের মুসলিম জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে মৌকারা দরবার শরীফের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জমিয়াতুস সালেকিন, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে যুব সালেকিন, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে ছাত্র সালেকিনের বিজয় কেতন উড্ডীন হয়েছে এবং হচ্ছে। এর মাধ্যমে এ দরবার জানান দিচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঠিক রূপরেখা।
মাসিক তালীমি জলসা প্রতিষ্ঠা: অনস্বীকার্য যে, মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সোহবাতে সালেহীন বা সৎ লোকের সঙ্গী হওয়া। আর তাইতো শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আর তাইতো হুজুর কিবলা নিজ বাড়ি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেন মাসিক তালিমী জলসা ও জিকিরের মাহফিল। সেখানে মানুষ এসে হুজুর কিবলার সোহবতে থেকে আদর্শবান আল্লাহ ওয়ালা হয়, যার ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান।
বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল প্রতিষ্ঠা: মরহুম পীর কিবলার তাবলিগী কর্মসূচি ছিল ব্যাপক ও বিভিন্ন মুখি। নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা তার কখনই ছিল না। তার মনের একান্ত ইচ্ছা ছিল কীভাবে দূর দূরান্তের মানুষের কাছে দ্বীনি তালিম পৌঁছানো যায়। হোক সেটা স্বল্প সময়ের জন্য। আর তাইতো প্রতি বছর দেশের প্রখ্যাত পীর, ওলামা-মাশায়েখদের শুভাগমনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল। যে মাহফিলে জিকিরের তালিম, কোরআন তেলোয়াত, হামদ, নাতে রাসুল (সা.), ইসলামী সঙ্গীত, উপমহাদেশের আউলিয়ায়ে কেরামদের অবদান, শরীয়তের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বরোপ, বিপর্যস্ত সামাজিক অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় ও ইখতিলাফি বিষয়ের উপর সারগর্ভ আলোচনা রাখেন প্রখ্যাত ওলামা-মাশায়েখগণ। পরিশেষে তাওবা ও ইস্তিগফার। এরপর দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
পুস্তক প্রণয়ন: তৎকালীন সমাজের লোকজন ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে অজ্ঞ ছিল। তাই মরহুম পীর কিবলা তাদের মাঝে ধর্মীয় বিষয়াদী উপস্থাপনের লক্ষ্যে পুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তিনটি পুস্তক প্রণয়ন করে প্রকাশও করেন। সেগুলো হলো: যিকরুল্লাহর ফযিলত, কালিমাতুল্লাহর হাকীকত, জবানের হিফাজত।
রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও প্রকাশনা: দ্বীনের মৌলিক বিষয়াদীর গবেষণা বের করে মানুষের মাঝে উপস্থাপনের জন্য একটি গবেষণাগার স্থাপন করেন। আর এ গবেষণাকে পরিস্পুটনের জন্য ‘মাসিক অভিযা’ নামে একটি দেওয়ালিকা প্রকাশ করা হয়। যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। যার দ্বারা ছাত্রদের যোগ্য গবেষক ও লেখক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায় যে, পীর শাহ অলী উল্লাহ (রহ.) শুধু মহান সাধকই নন, বরং তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান মহাপুরুষ ও বীর মুজাহিদ শতাব্দির মহীরুহ। আর তারই প্রতিষ্ঠিত মৌকারা দরবার শরীফ বর্তমান গদ্দীনশীন আলা হযরত পীর সাহেব কিবলা আমীরুসসালেকীন আমীরুল উলামা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ওয়ালীউল্লাহি (মা.জি.আ) এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইসলামের সুমহান খেদমত এগিয়ে চলছে।
লেখক: কবি, কলামিস্ট ও বিভাগীয় প্রধান, অনার্স আল হদীস, মৌকারা দারুচ্ছুন্নাত কামিল মাদরাসা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।