Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মৃত্যুর ১০ দিন পর আদালতে মামলা

সরিষাবাড়ী(জামালপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০২ পিএম

সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামের কৃষক আঃ ওয়াহেদের ছেলে কাঠের ব্যবসায়ী ফজলুল হক গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় দিগপাইত থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে সিএনজি পিক আপ ভ্যানে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ১০দিন পর বুধবার আদালতে মামলা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঐ কাঠের ব্যবসায়ী ঋণ নেওয়ার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় তার অপর বন্ধু ফুলদহ গাবতলী বাজারের মুদি দোকানদার এরশাদকে নিয়ে জামালপুরে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় যাচ্ছিল জমির দলিল পত্রাদি নিয়ে। যাওয়ার পথে জামালপুরের বেলটিয়া নামক স্থানে নিহত ফজলু ও এরশাদের বহনকারী সিএনজি অপর দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের সাথে সংঘর্ষে তারা দুজনই আহত হয়। গুরুতর আহত ফজলুকে তার সাথে থাকা বন্ধু এরশাদ পথিমধ্যে লোকদের সহায়তায় জামালপুরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতাল ফজলুর অবস্থা আশংকা জনক দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ফজলুকে বহনকারী এম্বুলেন্স ময়মনসিংহ মেডিক্যালে পৌছা মাত্র সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। পরে রাতেই তাকে তার গ্রামের বাড়ীতে আনা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে ফজলুকে তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। ফজলুর লাশ দাফনের দুদিন পরে গুঞ্জন উঠে সে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি। কে বা কারা তাকে মেরে আহত করে রাস্তায় ফেলে দিলে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গ্রামের কতিপয় লোক এ মৃত্যুর জন্য নিহত ফজলুর সঙ্গে থাকা তার বন্ধু এরশাদকে দোষী বানাতে তৎপর হয়ে উঠে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বাদলের কানে পৌছলে তিনি তা মীমাংসার দায়িত্ব নেন। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল এ ব্যাপারে ১৫ সদস্যে একটি তদন্ত টিমও গঠন করে। তদন্ত টিমকে তোয়াক্কা না করে নিহত ফজলুর লোকজন গ্রামের কিছু কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ২৭ তারিখে জামালপুর আদালতে নিহত ফজলুর স্ত্রী আন্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে এরশাদকে প্রধান আসামী করে তিন জনকে দায়ী করে একটি হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করে। এদিকে এ ঘটনার দুদিন পরে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমান এমন ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদলের উপর দায়িত্ব দেয়। কারণ ওসি সাহেব বাদী পক্ষকে জানিয়ে দেন যে, মামলা মোকাদ্দমা ভালনা। এতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিকে ওসি মাজেদুর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে তার থানার আইনশৃঙ্খলা ভাল থাকুক, মামলা মোকাদ্দমা যেন কম হয়। সেই স্বার্থে তিনি মাসে মাসে থানায় সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি মসজিদের ইমাম আলেম সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের লোকদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে মিটিং সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদলের সাথে বুধবার সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, নিহতের পক্ষের লোকজনদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য কথা বলেছি, সময়ও বেধে দেয়া হয়েছে, দুএকদিরে মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হবে। যদি নিহতের পক্ষের লোকজন গ্রাম্য আদালত (ইউনিয়ন পরিষদের) সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে তবে তার ঘেষারত তাদেরকেই বহন করতে হবে। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আদালতের মামলার ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নিশ্চিত নয়। তবে মামলার বাদীর স্বামী ফজলু কি দুর্ঘটনায় নিহত নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে গত সাতদিন ধরে ঐ এলাকায় নীরব গুঞ্জন বইছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক দুর্ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ