Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিদেশী নয়, স্থানীয় ফলেই মিলবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি -ইউনিসেফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:২২ পিএম

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাকসব্জি বা ডিম, ফলমূল ইত্যাদি থেকেই যে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া সম্ভব, আর এর জন্য বাইরে থেকে খাবার আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই, এই বার্তা দিতে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে এক বিশাল ক্যাম্পেইন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফও এই অভিযানে সক্রিয় সমর্থন জানাচ্ছে, যার মূল কথাটা হল স্থানীয় খাবার বা ‘লোকাল ফুড সিস্টেম’-ই আমার আপনার প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ঠ।
ভারতে ইউনিসেফের প্রধান ইয়াসমিন আলি হক একজন বাংলাদেশী নাগরিক, তিনি বলছেন এই কথাটা ভারতের জন্য যেমন, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও সত্যি। ড: হক বলছিলেন, ‘লোকাল ফুড সিস্টেম বলতে আমরা বোঝাচ্ছি আমার বাড়ির আঙিনায় যেটা পাওয়া যাচ্ছে, কিংবা আমার বাড়ির পাশের বাজারে যেগুলো সব সময় পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোকে। এখানে আসলে গর্ভবতী মা-ই বলুন বা বাচ্চারা, তাদের কী খাবার দেওয়া হবে সেখানে লোকাল ফুড সিস্টেমের একটা বড় ভূমিকা থাকা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘একটা বাচ্চাকে স্ন্যাকস দেওয়ার সময় আমরা তাকে একটা গাজর, কমলালেবু বা পেয়ারা দিতে পারি। কিন্তু সেগুলো না-দিয়ে আমরা তাকে কমার্শিয়ালি অ্যাভেলেবল একটা বিস্কুটের প্যাকেট ধরিয়ে দিচ্ছি কি না, প্রশ্ন সেটাই। লোকাল ফুড সিস্টেম বলছে আমাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবারদাবারেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এই ধরনের পুষ্টিকর খাবারের জন্যই সবচেয়ে বেশি সওয়াল করা উচিত।’
তবে ভারতের মতো বিশাল দেশে প্রতিটি রাজ্যে, এমন কী দেশের প্রতিটি জেলাতেও যে স্থানীয় খাবারের ধরনটা পাল্টে যেতে পারে সে কথাও ইউনিসেফ মনে করিয়ে দিচ্ছে। আসলে এক এক জেলাতে এক এক রকম পরিবেশ, এক এক রকম আবহাওয়া। কোথাও মিলেট (জোয়ার, বাজরা, যব) হচ্ছে, কোথাও আবার ভাতটাই প্রধান খাদ্য। আবার এমন কোনও জেলা নেই যেখানে কিছু না-কিছু স্থানীয় ফল বা শাক উৎপাদিত হচ্ছে না। ডিম তো আবার প্রায় সব জায়গাতেই হচ্ছে, কিন্তু আমরা এখন দেখছি বাচ্চারা ডিম না-খেয়ে বাইরে থেকে আনা অন্য খাবারের দিকে ঝুঁকছে।
কিন্তু তার মানে কি পশ্চিমবঙ্গের একটি শিশুর হিমাচল প্রদেশ থেকে আনা আপেল খাওয়ার কোনও দরকারই নেই? ইয়াসমিন আলি হকের জবাব, ‘সেই প্রয়োজনটা কিন্তু পেয়ারা দিয়েও মেটানো যেতে পারে। কিংবা বাংলায় তো বড়ই-ও (কুল) প্রচুর পরিমাণে হয়, তারা বড়ই খেতে পারে। আপেলই খেতে হবে, এমন তো কোনও কথা নেই।’
আসলে সাধারণ মানুষ তাদের খাদ্যাভ্যাসে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনলেই যে নিজেদের ডায়েটে অনেক বেশি পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারবে, এই অভিযানের মাধ্যমে ইউনিসেফ সেই বার্তাটাই দিতে চাইছে। আর ঠিক সেই প্রসঙ্গেই একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলা হচ্ছে, বাঙালিদের জন্য পেয়ারা-বড়ই যথেষ্ঠ, আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও তাদের ভালই চলে যাবে। সূত্র: বিবিসি।

 

 



 

Show all comments
  • মোঃ মোবারক হোসেন ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:৪১ পিএম says : 0
    আমাদের মাতৃভুমি মায়ের মতই কমল যার রয়েছে মূল্যবান শষ্য ভান্ডার যদি আমরা মা তথা মাটি কে যদি সঠিকভাবে যন্ত করতে পারি ইন্শাআল্লাহ ভালোফলাফল পাবো আর মা ও মাটি যদি দুষিত হয় তাহলে মার কোলে যেমন নাউযুবিল্লাহ যারয সন্তান জন্মাবে তেমনি মাটিকে যদি দুষিত করি তাহলে এরকম পুষ্টিবান ফল না জন্মীয়ে জন্মাবে খারাপ ও ভেজাল ফসল যেমনটা বুড়িগঙ্গা নদীর পানির পাশে জন্মানো শাকসবজি ও বিশাক্তপানির মত দুষিত :( তাই সময় থাকতে তাদের জত্ননেওয়া দরকার । নারীদের জন্য যেমন স্বামীর দরকার তেমনি মাটির জন্য দরকার দেশিও জৈবষার ও সঠিক পরিচর্চা :) ডগডগ বা ডুমুর গাছের ফলের কি গুনাগুন কেমন ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ