পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় টানা অসন্তোষের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে সীমান্ত এলাকার জীবনযাত্রা। অপরদিকে শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় গ্রামবাসী বিজিবির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছে আদালতে। গতকাল বুধবার হরিপুর আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানা খান বরাবরে অভিযোগটি জমা দেন বাদি পক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম।
গতকাল মানববন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে স্থগিত হয়ে গেছে। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ এ বিষয়ে জানান, এমন কোন তথ্য তার কাছে নেই। বিষয়টি তিনি দেখবেন। তিনি বলেন, এলাকার পরিবেশ অনেকটা শান্ত।
আইনজীবী নজরুল ইসলামের তথ্য মতে, নিহত নবাবের বাবা নজরুল ইসলাম, সাদেকের ভাই মো. বাসেদ ও শিশু জয়নালের পিতা নুর ইসলাম পৃথক তিনটি মামলার বাদি। মামলায় ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল তুহিন মো. মাসুদসহ আরো ৬ বিজিবি সদস্যের নাম উল্লেখসহ আরো অনেককে অজ্ঞাত করে অভিযোগ জমা দেয়া হয়। আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারক ফারহানা খান।
মামলার তিন বাদি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, থানায় যাওয়ার পর পুলিশ মামলা না নেয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের কাছে গিয়েছেন। তাদের আশা আদালত মামলা গ্রহণ করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবেন। তারা আরো জানান, আদালতে মামলা করা হবে শুনে বিজিবির কেউ কেউ গ্রামবাসীকে বিভিন্নভাবে কখনো হুমকি কখনো লোভ দেখাচ্ছেন।
এদিকে হরিপুরের কোনো কোনো স্কুলে আর আগের মতো উপস্থিতি নেই। সাদা পোশাকে কিছু লোকজনের আনাগোণা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করায় গ্রামবাসীর মনে অজানা ভীতি কাজ করছে। তদন্ত কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নূর কুতুবুল আলম জানান, উপজেলা নির্বাচনের কাজে কমিটির অনেকেই ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন এলাকায় গিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি। আগামীকাল অথবা শনিবার থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবেন।
বিজিবির মহাপরিচালকের ঠাকুরগাঁও সফরকালে ঘোষিত উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কাজ দ্রæতই শুরু হবে বলে জানান বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সামসুল আরেফিন। সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেছিলেন, ঘটনায় বিজিবিসহ যারাই দায়ি থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সীমান্তে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর সবগুলো বিষয়ই বিবেচনাধীন। তবে সবার আগে দরকার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। বিজিবি মহাপরিচালকের এসব ইতিবাচক মনোভাবের কারণে এলাকায় ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসছে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সীমান্তে আবার আস্থার পরিবেশ ফিরে আসবে এবং সীমান্তবাসীর মূল্যবান জীবন এভাবে অকালে হারিয়ে যাবে না। তারা মনে করেন, চোরাচালান নির্ভর অর্থনীতি নয় সীমান্তে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।