বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বড় ধরণের ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারিদের আখড়ায়। কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম’র দিকনির্দেশনায় জেলাব্যাপী শুরু হয়েছে মাদকবিরোধী ভিন্নআঙ্গিকের অভিযান। প্রতিদিনের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের ভিড়ে কুমিল্লা পুলিশ প্রশাসনের অভিনব কৌশলে নতুনমাত্রার অভিযানে আটকের খাতায় বিক্রেতার পাশাপাশি নাম উঠছে মাদকসেবিদের। পুলিশ প্রশাসনের এ আভিযানিক অভিনব কৌশলে সাতদিনে আড়াইশো মাদকসেবি ও বিক্রেতা আটক হয়েছে।
মাদকের ডিমান্ড থাকায় সাপ্লাই বাড়ছে। চলমান অভিযানের মধ্যদিয়ে মাদকের ডিমান্ড কমানোর কৌশল নিয়ে অভিনব কৌশলে নেমেছে কুমিল্লা পুলিশ। মাদকের ডিমান্ড কমাতে পারলে সাপ্লাই অটোমেটিক কমে যাবে। এমন ধারণাকে গুরুত্ব দিয়ে কুমিল্লা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে অভিনব সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫০ ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় দুইশোজন রয়েছে মাদকসেবি এবং বাকিরা খুচরা মাদক বিক্রেতা। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। ইতোমধ্যে মাদকের আস্তানাগুলোতে চলছে কঠোর নজরদারি। ঢালাওভাবে মাদকেসেবি আটকের মধ্যদিয়ে মাদকের পাইকারি খুচরা ও শীর্ষ ব্যবসায়িদের সন্ধান মিলবে আশাবাদ ব্যক্ত করে অভিনব কৌশলের এ অভিযান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার। ডিমান্ড, চেইন, সাপ্লাই অনেক ব্যাপার আছে। ডিমান্ডের ওপর আমরা প্রেসার ক্রিয়েট করছি। যাতে সাপ্লাই কমতে কমতে তলানিতে নেমে আসে। আর এজন্য মাদকবিরোধী চলমান অভিযানে যুক্ত হয়েছে অভিনব কৌশল। গত বুধবার থেকে মাদকসেবি গ্রেফতার ও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চতুর্থবারের মতো বিপিএম পদকপ্রাপ্ত এ পুলিশ সুপার আরো বলেন, গেলো পুলিশ সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষনে দেশকে মাদকমুক্ত করার তীব্র অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশ অনুযায়ি গত সাতদিনে প্রায় আড়াইশো মাদকসেবি ও কিছু বিক্রেতা গ্রেফতার এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
মাদকের ডিমান্ড কমানোর বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা মাদকের ডিমান্ড ও সাপ্লাই বন্ধের ওপর বেশি জোর দিয়ে কাজ করছি। এক্ষেত্রে অভিযানে আমরা অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছি। প্রথমে ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ উল্লেখযোগ্য মাদক সেবন করে এমন ব্যক্তিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে মাদকের পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা এবং প্রাপ্তিস্থানগুলোর তথ্য নিচ্ছি। তারপর তথ্যের ভিত্তিতে মাদক বিক্রেতাদের ধরবো। পরের ধাপে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতাদের আটক করে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মুল ব্যবসায়িদের তালিকা করে গোড়ায় অভিযান শুরু করবো। বিশেষ করে মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ি ও গডফাদাররা সাধারণত দেশের বাইরেই বেশিরভাগ অবস্থান করে থাকে। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, চাহিদা থাকা ও মুনাফা বেশি হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে হলেও মাদক ব্যবসায়িরা মাদক ব্যবসা করেছে। কৌশল পাল্টিয়ে করছে ব্যবসা। আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সদস্যরা মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে মাদকসেবি, মাদকের ছোট ব্যবসায়ি, বড় ব্যবসায়ি কাউকে ছাড় দিবেনা। মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে আমাদের অভিযান চলবে। আইনজীবী, প্রসিকিউটদের প্রতি আহ্বান থাকবে মাদক ব্যবসায়িরা যাতে আটকের পর আইনের ফাঁক-ফোকরের অপব্যবহারের সুযোগ না পায়। আর শিক্ষক, ছাত্র, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, অভিভাবক, ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আমরা সহযোগিতা চাই, যাতে করে মাদকের মূলোৎপাটন করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।