Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়নি - প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৮, ৫:০৫ পিএম
মাদক সমাজে একটি ব্যাধির মতো, এই পর্যন্ত দশ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে, মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে এমন একটি ঘটনাও ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন, আমি যখন ধরি ভালো করেই ধরি।
 
বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক ভারত সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ে যেই গডফাদার হোক, তিনি যে বাহিনীরই হোক, এটা আমরা দেখছি না। তাই দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করি। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করি।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করার মনস্থির করি। বাংলাদেশ ভবন রক্ষণাবেক্ষণে ১০ কোটি স্থায় তহবিল আমরা গঠন করব। এই তহবিল থেকে অর্জিত লভ্যাংশ থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের ১০ শিক্ষার্থীকে এমফিল ও পিএইচডি অর্জনের জন্য ফেলোশিপ দেয়া হবে।
 
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে যৌথ ইশতেহারে ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের’ কথা উল্লেখ করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় ২০১৩ সালে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়।
 
তিনি আরো বলেন, এরই অংশ হিসেবে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থাপত্য অধিদফতর যৌথভাবে এ ভবনটি নির্মাণ করেছে। এতে ২৫ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ হয়েছে।
 
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে দুই দিনের সরকারি সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে শান্তি নিকেতনে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ভবন’ উদ্বোধন করেন।
 
এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন এবং বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট (ডক্টর অফ লিটারেচার) ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
 
সফরে শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এই সফরে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রণাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজোড়িত ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি’ এবং কলকাতায় ঐতিহাসিক ‘নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ