Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে ১৫ টি পরিবার ভিটেছাড়া

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩৬ পিএম

জমিজাতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভীটশ্বর গ্রামে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে বাড়িছাড়া হয়েছে ১৫ টি পরিবার। হুমকি ও মারধরের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। সন্ত্রাসীরা রান্না ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। মেরে ফেলা হয়েছে ১০ টি হাঁস। মাঠে থাকা একটি স্যালো মেশিন ভাংচুর ও মাঠের ১০ টি স্যালো মেশিনে সেচ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ৫০ বিঘা ইরি আবাদ নষ্ট হতে চলেছে। রোববার সকালে ঝিনাইদহে সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভীটশ্বর গ্রামের আতিয়ার রহমান খানের মেয়ে মোহনা খাতুন। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ভীটশ্বর গ্রামের রামকান্ত মন্ডলের ছেলে হৃষিকেশ মন্ডলের কাছ থেকে মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ফারুক আলী স্টাম্পের মাধ্যমে ৬ জনকে সাক্ষী রেখে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩ কিস্তিতে ভীটশ্বর গ্রামের ১৪৩ নং মৌজার ২৭২৮ দাগের মধ্যে ৪৬ শতক জমি বায়নানামা করে দেয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তারা জমি ভোগ দখল করে আসছে। এই জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে তালবাহানা করে আসছে রামকান্ত। এছাড়া ২০১৮ সালে ১ আগষ্ট হৃষিকেশ মন্ডল ও তার ভাই অমরেশ মন্ডল একই দাগের আরও ৪৬ শতক জমি আমাদের নিকট বিক্রি করে দেয়। ২ ভাইয়ের নিকট থেকে সর্ব মোট ৯২ শতক জমি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রি কৃত জমি গোপনে অনত্র বিক্রয় করার ষড়যন্ত্র করে তারা। টাকা নেওযঅর পর জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে গত ১০ ফেব্রুযারি সকালে হৃষিকেশ মন্ডল, সাইফুল দফাদার, শরিফুল ইসলাম ওরফে হুমো শরিফুল, বিকাশ চন্দ্র, পিযুষ চন্দ্র, নিপেন মন্ডল, উজ্জল মন্ডল, লাল মিয়া দফাদার, মোলাম দফাদার, আফিরুল ও মসিয়ার বিশ্বাস দলবল সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ আদালতে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করার পরই আমরা ভিটেছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগি আল মামুন, হাসেম আলী, রবিউল ইসলাম, ফরহাদুজ্জামান ও তাসলিমা বেগম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অত্যাচার

২২ আগস্ট, ২০২১
বিয়ের পর থেকেই দেখে আসছি আমার স্বামী তার পরিবারের কথায় আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়, অযথা সন্দেহ করে, আজ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং বেড়েছে। সে নিজে নামাজ পড়ে না কিন্তু আমার নামাজ নিয়ে খোটা দেয়। গালমন্দ করে, বাচ্চাদের নামাজ, আরবি শিখাতে গেলেও টিটকারি করে। আমাকে বাবার বাড়ি যেতে দেয় না, কিন্তু সে নিজে যায়। আজেবাজে বন্ধুদের সাথে বেশি মিশে কিন্তু আমাকে কোনো আত্মীয় বা বান্ধবীর বাসায় যেতে দেয় না। সংসারে কোনো উন্নতি নেই, কিন্তু এগুলা নিয়ে কিছু বলতে গেলে বাপ মা তুলে গালি দেয়। লোভী বলে, ভাতের খোটা দেয়। আমার নামাজ হয় না বলে তিরস্কার করে, চরিত্র তুলে কথা বলে। প্রতি ঈদ বা দাওয়াত এর আগে হটাৎ ছোটো খাটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এবং পরবর্তী তিন চার মাস পর্যন্ত মুখ কালো করে থাকে ও আলাদা ঘরে ঘুমায়। সে একদিন রাগ করে কুরআন পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে কিন্তু চাকরিও করতে দেয় না। এই মানসিক অত্যাচার এর মধ্যে থাকতে থাকতে আমি বাচ্চাদের নিয়ে অতিষ্ট হয়ে গেছি। কিন্তু সে সংসার ভাঙতে চায় না। এমতাবস্থায় আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চাই, নিজে বাঁচার জন্য, গুনাহ হবে কি?
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ