পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার :
দেশে অত্যাচার বিচারহীনতার সংস্কৃতি স্থায়ী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ঐক্য ন্যাপের আহবায়ক প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই কোটির উর্ধ্বে দুর্নীতির মামলা, দন্ডিত ও কারারুদ্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে করে বড় দু’দলে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব-শত্রুতা নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক-নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রকৃত রেফারী হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সরকার হবে তার সহযোগী। নির্বাচনের পূর্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত অপরিহার্য। নির্বাচনী বছরে ২২টি জেলায় নতুন ডিসি, ১৫টি জেলায় নতুন এসপি নিয়োগ এবং সংসদ সদস্যদের জন্য তিনটি প্রকল্প পাশ করার নামে ‘বোনাস ব্যবস্থা’ আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি দলের নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি অপরাপর দলের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের পরিসর সংকোচন উদ্বেগজনকও বটে। সাম্প্রতিককালে পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি ছবি পরিস্থিতির পরিমাপক। একটি ছবিতে পুলিশ বিএনপি নেতার কণ্ঠনালী চেপে ধরেছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের লক্ষণ আক্রান্ত। দ্বিতীয় ছবিতে সরকারি দলের সম্মেলন ভন্ডুলকারীদের তান্ডব থামাতে মন্ত্রীর হাতজোড় করার অসহায় চিত্রটি আইনের শাসনের দুর্বল দশার পরিমাপক। তিনি বলেন, ক্ষমতার সাংবিধানিক মালিক জনগণকে কার্যকর মালিকে পরিণত করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে বদ্ধপরিকর হতে হবে। অন্যথায় জাতি নিক্ষিপ্ত হবে ‘গণহীন গণতন্ত্রে বা কর্তৃত্বপরায়ন দলতন্ত্র’-এর নিগড়ে। আর তাতে লাভবান হবে স্বাধীনতা বিরোধী দেশ ও সংবিধান বিরোধী অগণতান্ত্রিক অপশক্তিরা। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে গর্বিত আসন অর্জন, প্রায় এক দশকের স্থিতিশীল অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন যেমন সত্য; তেনমই অসত্য নয় ধনী-দরিদ্রের প্রকট বৈষম্য। যা জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করেছে অশোভন বৈষম্য। এছাড়া ব্যাংক ডাকাত নামধারী ঋণ খেলাপীদের সোয়া লাখ কোটি টাকা খেলাপী ঋণের মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপন করাটা সম্পূর্ন অনৈতিক। ব্যাংক অনিয়মের ১০ হাজার কোটি টাকা যা আত্মসাৎ করেছে ঋণ লুটেরারা। তা জনগণের করের টাকায় পরিশোধ করা সংবিধান ও আইন বিরুদ্ধ।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, যে কৃষক জাতিকে দেয় খাদ্য নিরাপত্তা ও বৈদেশিক মুদ্রা, যে নারী শ্রমিকরা এনে দেয় সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা, যে প্রবাসী শ্রমিকরা রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে ষ্ফীত করে জাতীয় কোষাগার তারা কেন পাবে না বাঁচার মতো মজুরি? বাধ্যতামূলক রেশন সুবিধা, ছুটি, ব্যাংক ঋণ, শস্যবিমাসহ ফসলের ন্যায্যমূল্য? তিন ফসলি জমি অকৃষিখাতে ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ হবে না? ঐক্য ন্যাপের এই আহŸায়ক বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের উপর অব্যাহত উচ্ছেদ-অত্যাচার বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে স্থায়ী করে তুলছে। ২০ বছর কেটে গেলেও পার্বত্য শান্তি চুক্তি অবাস্তবায়িত থাকছে এবং অর্পিত সম্পত্তির খড়গাঘাতে সংখ্যালঘু জনগণের নিত্য আক্রান্তের ঘটনায় নির্বাচনী বছর স্বস্তিপূর্ণ হচ্ছে না ভুক্তভোগীদের কাছে। নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, লংগদুর ঘটনায় শাস্তি পায়নি দুষ্কৃতিকারীরা। পুনর্বাসিত হয়নি আক্রাস্ত ক্ষতিগ্রস্থরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।