নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নতুন সহযোগিতার সরাসরি কোন প্রতিশ্রুতি না দিলেও বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আন্তর্জাতিক শ্যুটিং ফেডারেশনের (আইএসএসএফ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির লিসিন এবং মহাসচিব আলেকজান্দার রাতনার। সঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং ডিসিপ্লিনকে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন তারা।
শনিবার বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে এসে এই আশ্বাস দেন বিশ্ব শুটিংয়ের দুই কর্তা। সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকায় পৌঁছেই গুলশানস্থ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে যান ভøাদিমির ও আলেকজান্দার। প্রথমবার বাংলাদেশে এসে সময়ক্ষেপন করতে চাননি তারা। শ্যুটিং কমপ্লেক্সের ভবন, রেঞ্জ ঘুরে দেখেন। এরপর বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সভায় মিলিত হন তারা। আইএসএসএফের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির লিসিন বলেন, ‘এখানে এসে যা দেখলাম, তাতে মনে হলো বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ে পৃষ্ঠপোষকতার বড়ই অভাব। তাই আমাদের দিকে না তাকিয়ে উনাদের উচিত পৃষ্ঠপোষকা খোঁজা। আমাদের যতটুকু সহযোগিতা করার তাতো করবোই।’ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কমনওয়েলথ গেমস থেকেই বড় সফলতা এসেছে বাংলাদেশ শ্যুটিংয়ের।
কিন্তু ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং নেই। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে শ্যুটিং ডিসিপ্লিনটি বাদ দিয়েছে আয়োজকরা। তাই বাংলাদেশের পদকের প্রত্যাশাও নেই ওই গেমসে। তবে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিংকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন আইএসএসএফের কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে ভ্লাদিমির বলেন, ‘আমরা বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যাতে ওই গেমসে শ্যুটিংকে ফের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কারণ আমি জানি, এতে বাংলাদেশ ও ভারত অনেক উপকৃত হবে।’
বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, ‘আমরা খুবই কৃতজ্ঞ উনাদের কাছে। সকালে আমি এবং আমার সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বিমান বন্দরে উনাদের স্বাগত জানিয়েছি। উনারা এখান থেকে দিল্লিতে যাবেন বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ে। আমরা এখন কমনওয়েলথভুক্ত পর্যায়ে রয়েছি। কিন্তু পরবর্তী লেবেলে যেতে হলে আইএসএসএফের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটাই চেয়েছি আমরা। কারণ আমাদের ১০ মিটার রেঞ্জটা খুবই ভালো। আরো ভালো কিছু চেয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২০২০ অলিম্পিক গেমসে খেলার জন্য কোটা অর্জন করতে চাই। সে লক্ষ্যে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলবো। ডেনমার্কের কোচ ক্লাভস দু’বছরের চুক্তি শেষ করে এখন সিঙ্গাপুরে যোগ দিয়েছেন। তাই এখনি নতুন কোচের কথা ভাবছি না। বিশ্বকাপে স্থানীয় কোচদের দিয়েই অংশ নেবো। আসলে আমরা আইএসএসএফের কাছে বিরতিহীন সহযোগিতা চাই। আমি আশাকরি সম্পর্কটা থাকবে ভবিষ্যতেও।’ শুটি লিগ নিয়ে অপুর কথা, ‘শুটিং লিগ দিয়ে বছরটা শুরু করার চিন্তা ভাবনা করেছি। ছয় দলের টিম হবে। প্রত্যেক দলে ছয়জন করে থাকবে। এয়ার পিস্তল ও এয়ার রাইফেলে খেলা হবে। এখানে আইএসএসএফর সাপোর্ট চাচ্ছি না। প্রথম বছরে অনেক সমস্যা থাকবে। আসলে এশিয়ান জোনে আমরাই প্রথম শুটিং লিগ করতে যাচ্ছি। ভøাদিমির ও আলেকজান্দার বলেছে, তোমরা যদি ওয়ার্ল্ডকাপের গ্যাপে লিগ করো, তাহলে আমরা আশার চেষ্টা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।