দীর্ঘ দু’বছর প্রতীক্ষার অবসান হল। আলিয়া ভাট অভিনীত এবং সঞ্জয় লীলা বানসালী পরিচালিত ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র শুটিং শেষ হল অবশেষে। ছবির পরিচালক এবং ফিল্ম ক্রুদের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার করে এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লিখেছেন আলিয়া । তিনি তার পোস্টে লেখেন দু’টো
লকডাউন, দুটি সাইক্লোন এবং ফিল্মের প্রধান অভিনেতা পাশাপাশি পরিচালক কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শুটিং শেষ করা একেবারে সহজ ছিল না।
আলিয়া লেখেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গাঙ্গুবাইয়ের শুটিং শুরু করেছিলাম … এবং আমরা এখন ২ বছর পরে ছবিটি শেষ করলাম! এই ফিল্ম এবং সেটটি দুটি
লকডাউন … দুটি সাইক্লোনের মধ্য দিয়ে হয়েছে… পরিচালক এবং অভিনেতা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন!” তিনি আরও বলেন যে সব সমস্যার মধ্যে দিয়ে ফিল্মটি গিয়েছে তা বলতে আরেকটি ছবি হয়ে যাবে। বাধা সত্ত্বেও আলিয়া ভাট ছবি থেকে যা ‘পেলেন’ তা হল ‘জীবনে এক বিশাল পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা’।
প্রথমবার সঞ্জয় লীলা বানশালির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার নিয়ে আলিয়া লেখেন, ‘স্যরের নির্দেশনায় কাজ করা আমার সারাজীবন স্বপ্ন ছিল, তবে আমি যে যাত্রা শুরু করেছিলাম তার জন্য কোনও কিছুই এই দু’বছরে আমাকে প্রস্তুত করতে পারেনি, বলে আমি মনে করি। আমি এই সেট থেকে বেরিয়ে এসেছি একজন অন্য মানুষ হয়ে! স্যর, আমি আপনাকে ভালবাসি! আপনাকে আপনার মতো থাকার জন্য ধন্যবাদ … সত্যিই আপনার মতো আর কেউ হয় না।’
২৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘যখন আপনার কোনও ফিল্ম শেষ হয় তখন আপনার একাংশ শেষ হয়ে যায়! আজ আমি আমার একাংশ হারিয়ে ফেলেছি … গাঙ্গু আমি তোমাকে ভালবাসি! তোমাকে মিস করব। পুনশ্চ: আমার ক্রুদের কাছে জন্য বিশেষ উল্লেখ —এই দু’বছর ধরে আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব! তোমাদের ছাড়া কিছুই সম্ভব হত না! ভালোবাসি।’
'গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি' এক মাফিয়া কুইনের জীবনের গল্প। কাহিনীর কেন্দ্রে নির্যাতিতা নারী গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি। সঙ্গীকে বিশ্বাস করে যিনি গুজরাট ছেড়ে মুম্বাই চলে এসেছিলেন। অজান্তে মুম্বাইয়ের এক পতিতাপল্লিতে তাকে বিক্রি করে দেয় সেই পুরুষ সঙ্গী। পরে গাঙ্গু মুম্বাইয়ের অন্ধকার দুনিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হয়ে ওঠেন ক্ষমতাবান। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অজয় দেবগণ।