Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাঞ্চল্যকর ফেরেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

পীরগাছায় টাকার জন্যই বন্ধুকে খুন

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৩:০৩ পিএম

রংপুরের পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর ফিরোজ মিয়া ফেরেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাবিলা পাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেে ল ফিরোজ মিয়া ফেরেসকে (২২) গত ৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে শনিবার পীরগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন ফেরেসের বাবা আমির উদ্দিন।
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে মাষাণকুড়া নদী সংলগ্ন নির্মাণাধীন একটি গুচ্ছগ্রামে মাটি চাপা অবস্থায় থাকা একটি মরদেহ মাটি খুঁড়ে বের করে কুকুর। পরে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। এসময় মরদেহটি ফেরেসের বলে নিশ্চিত করেন তার পরিবারের লোকজন। এঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ৪ জনকে আটক করেন। আটকৃতরা হলেন উপজেলার কাবিলাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে টিপু (২৬), মৃত আউয়াল মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (২৫), মতিন চৌকিদারের ছেলে সুলতান হোসেন(২৩) ও পাশের দোয়ানী গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২৪)।

আটককৃতদের মধ্যে কাবিলা পাড়া গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া গত বুধবার ও দোয়ানী গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আটককৃত ৪ জনই হত্যাকা-ে অংশ নেন বলে আদালতে স্বীকার করেন। এর আগে পীরগাছা থানা পুলিশ আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহত ফেরেসের পরনে থাকা জুতা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত মাফলারের অংশ উদ্ধার করেন।
আটককৃতরা নিহত ফেরেসের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায়। ফেরেস নিখোঁজের দিনেও স্থানীয় কান্দির বাজারে একটি চায়ের দোকানে তাদেরকে একসাথে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের লোকজন জানায়।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, চাঞ্চল্যকর ফেরেস হত্যা মামলার রহস্য ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করা হয়েছে। আটককৃত ৪ জনই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এদের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে শাহিন ও জাহিদুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা বলেন, ফেরেসের নিকট প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছিল। ওই টাকা হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিত ভাবে ফেরেসের গলায় মাফলার পেঁছিয়ে হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উদঘাটন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ