Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ দিল্লিতে মমতার মহাসমাবেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারতে বিজেপি বিরোধী ঐক্যের আরও এক দফা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ধর্মতলার ধর্মঘট মঞ্চ ভাঙার সময় দুই মুখ্যমন্ত্রী যৌথ ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘শেষ হচ্ছে না লড়াই, শুরু হচ্ছে তাকে দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি।’ এক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু আগেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন এবং অন্ধ্র ভবনের সামনে সোমবার দিনভর ধর্মঘট করেছেন। অন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়ও গতকাল মঙ্গলবার পৌঁছেছেন। 

যন্তর-মন্তরে এই সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। প্রস্তুতিতে রাত থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে ভারতের রাজধানী। গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশে যে দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব হাজির হয়েছিলেন, সেই দলগুলির প্রায় সবক’টিই বুধবার নয়াদিল্লির সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু কলকাতায় যেমন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ছিল সমাবেশের আয়োজন, দিল্লিতে তেমনই আয়োজনের ভার স্থানীয় শাসক দল আম আদমি পার্টির (আপ) উপরে। তাই আজকের সমাবেশে কংগ্রেসের যোগদান নিয়ে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। কেজরীওয়ালের ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত অজয় মাকেনকে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে শীলা দীক্ষিতকে ওই পদে আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে আপের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব এখনও বিস্তর। তাই কেজরীওয়ালের ডাকা মঞ্চে হাজির হওয়া কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষে কিছুটা কঠিন।
দেশের অখন্ডতা রক্ষা, সংবিধান রক্ষা এবং গণতন্ত্র রক্ষার তাগিদেই মোদির বিরুদ্ধে একজোট হওয়া দরকার, ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ ব্যানারে সামিল হওয়া রাজনৈতিক দলগুলি এই কথাই বলছে বার বার। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাসভবনে সিবিআই হানার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল কেন্দ্রের, তার প্রেক্ষিতে ধর্মঘটে বসার কথা ঘোষণা করার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার তাগিদেই তার এই পদক্ষেপ। এই ধর্ণা আসলে ‘সত্যাগ্রহ’ দাবি করেছিলেন মমতা। তিনি ধর্মঘটে বসেছেন খবর পেয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির থেকে ফোন আসতে শুরু করেছিল তার কাছে। অরবিন্দ কেজরীওয়াল থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডু, অখিলেশ যাদব থেকে মায়াবতী, তেজস্বী যাদব থেকে এম কে স্ট্যালিন, শরদ পওয়ার থেকে শরদ যাদব সমর্থন জানাতে শুরু করেছিলেন বিরোধী রাজনীতির প্রায় সব মহারথীরা। তার এই আন্দোলন সর্বভারতীয় স্তরের বিরোধী রজনীতির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে চলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অভ্রান্ত বুঝেছিলেন। তাই নিজের ধর্মঘটের মঞ্চকে বৃহত্তর মঞ্চ হিসেবেই তুলে ধরেছিলেন তিনি। মেট্রো চ্যানেলে নির্মিত মঞ্চটায় তৃণমূলের নাম, প্রতীক বা পতাকা ছিল না কোথাও। শুধু লেখা ছিল ‘সেভ ইন্ডিয়া’।
তবে বুধবার শুধু সমাবেশ নয়, একটি বড় মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। আপ-ই আয়োজন করছে সেই মিছিল। রামলীলা ময়দান থেকে শুরু হয়ে যন্তর-মন্তরে গিয়ে সেটি শেষ হবে। বিভিন্ন বিরোধী দল সে মিছিলে যোগ দিতে পারে। তৃণমূলও মিছিলে সামিল হতে পারে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলে থাকছেন না বলে তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ