মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লক্ষ্মেী বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাসে রোড শো শুরু করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। সম্প্রতি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর গতকাল সোমবারই প্রথম উত্তরপ্রদেশে এলেন প্রিয়াঙ্কা। বিপুল সমর্থক সঙ্গে নিয়ে চমকদার রোড শো দিয়েই তিনি ঢুকে পড়লেন লোকসভা ভোটের মাঠে।
এদিন বড়ভাই ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে প্রিয়াঙ্কা লক্ষৌ বিমানবন্দর থেকে বেড়িয়ে আসতেই স্লোগানের ঝড়ে কেঁপে যায় চৌধুরি চরণ সিংহ বিমানবন্দর চত্বর। চার দিক থেকে আসতে থাকে বিপুল মানুষের আনন্দধ্বনি। ফুলের পাঁপড়ি বৃষ্টিতে ভেসে যায় চারদিক।
লক্ষৌয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা। রোববার রাতেই সম্পূর্ণ পথটাই ঢেকে ফেলা হয়েছিল ফ্লেক্স-ব্যানারে। যে পথে রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা, তিনি পৌঁছনোর অনেক আগে থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন সেই সব রাস্তায়। কারও হাতে ছিল পোস্টার। কারও হাতে ফুল, শক্সক্ষ। কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছিল উৎসবের আমেজ।
স্থানীয় সময় বেলা ১টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা বিশেষ একটি বাসের ছাদে উঠে রোড শো শুরু করেন। সঙ্গে রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাজ বব্বরসহ অনেকেই। নিরাপত্তার জন্য সাদা সেই বাসের ছাদটা ঘেরা ছিল রেলিং দিয়ে। সেই ঘেরোটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে কর্মী সমর্থকদের দিকে হাত নাড়লেন প্রিয়াঙ্কা, কক্ষনও জোড় হাতে প্রণাম জানালেন। বাকিরাও বাসের ছাদ থেকে হাত নাড়তে থাকেন। রোড শোতে মোদীকে ক্ষোঁচা দিতে ভোলেননি রাহুল। তাই রাফালের মডেল হাতে নিয়েই বাসের ছাদে উঠেছিলেন তিনি।
বিমানবন্দর থেকে প্রিয়াঙ্কার বাস আলমবাগ, চারবাগ, হুসেনগঞ্জ, লালবাগ, হজরতগঞ্জ পেরিয়ে যায় কংগ্রেস দফতর নেহরু ভবনে। বাসের সামনে-পিছনে লাক্ষ লাক্ষ মানুষ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। চলতে থাকে স্লোগান।ও পুষ্পবৃষ্টি। বাসের সামনে ছিল প্রিয়াঙ্কার ‘গোলাপী সেনা’র ৫০০ সদস্য। তাদের গোলাপী জামায় ছিল প্রিয়াঙ্কার ছবি, হিন্দিতে লেক্ষা ছিল, ‘দেশের সম্মানে প্রিয়াঙ্কাজি ময়দানে, মন দেব, সম্মান দেব, প্রয়োজনে দেব জীবনও’।
এদিকে, রোড শো উপলক্ষে রোববার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তায় নতুন রাজনীতি শুরু করার ডাক দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এরপর জনসাধারণের আরও ক্ষানিকটা কাছাকাছি যাওয়ার জন্য সোমবার তিনি যোগ দেন টুইটারেও। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেক্ষানে কয়েক হাজারেরও বেশি ফলোয়ার পেয়ে যান তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে টুইটারকেও হাতিয়ার করতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহল। প্রথমে অডিও বার্তার মাধ্যমে মানুষের মন বুঝে নেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এর পরই যোগ দিলেন টুইটারে।
প্রিয়াঙ্কার আবির্ভাবে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির সমীকরণ বদলাচ্ছে। নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে প্রতিপক্ষরা। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ও বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) জোট শিবির সূত্রে অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত। এমনকি, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন জোটের নেতারা। প্রিয়াঙ্কা-রাহুলের রোড শোয়ে বিপুল জনজোয়ারের পর সেই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা ময়দানে নামার পর কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা যে ভাবে উজ্জীবিত হয়েছে, যে বিপুল সাড়া পড়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাইকেল, হাতি দুই শিবিরেই। এত দিন মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি এবং যোগীকেই দেক্ষছিলেন অক্ষিলেশ-মায়াবতী। এবার তাদের আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে।
এ বিষয়ে সমাজবাদী পার্টির এক বর্ষীয়ান নেতা বললেন, প্রিয়াঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে আসার পর থেকেই কংগ্রেস যে ভাবে আসরে নেমেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে হিন্দি বলয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। এসপি-বিএসপি শিবিরও তাই স্ট্র্যাটেজি বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, কংগ্রেস ভাল ফল করলে ভোট কাটাকাটির ক্ষেলায় লাভ হবে বিজেপির। কিন্তু এসপি-বিএসপি জোট বা কংগ্রেস, কেউই সেটা চাইবে না। ওই নেতার কথায়, এবার তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা ক্ষুঁজছেন। এমনকি, ১২ থেকে ১৫টি আসন ছাড়তেও রাজি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ‘পিছনের দরজা’ দিয়ে সেই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলেও ওই নেতার দাবি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।