মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান হিসেবে নির্বাচিত মুসলিম নারী রাশিদা তালিব দেশটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সংগ্রহে থাকা কয়েক শত বছরের পুরনো একটি পবিত্র কুরআনের কপি হাতে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। থমাস জেফারসন একজন ইসলাম অনুরাগী ছিলেন। তিনি সবসময় সাথে পবিত্র কুরআনের ইংরেজি ভাষায় অনূদিত এই কপিটি রাখতেন যা ১৭৩৪ সালে লিখিত হয়েছিল।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র কাছে শপথ গ্রহণের জন্য সেই কপিটি পছন্দ করার কারণ ব্যাখা করেছেন রাশিদা তালিব। তিনি বলেছেন, পবিত্র কুরআনের এই অনুদিত কপিটি পড়তে তার কোনো সমস্যা হয়না এবং তিনি একে সঠিক বলে অনুভব করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এটি পছন্দ করেছি কারণ আমি কিছু লোকের এই ধারণা ভেঙ্গে দিতে পেরেছি যে, যারা বিশ্বাস করে আমরা এই দেশে একেবারেই নতুন।’
বার্তা সংস্থা ওয়াশিংটন পোষ্টের জানায়, ২০০৭ সালে মিনিশোটা রাজ্যে থেকে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হয়ে কেইথ ইলিসন নামের অপর একজন কংগ্রেসম্যান থমাস জেফারসনের অনুদিত পবিত্র কুরআনের কপি হাতে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। পবিত্র কুরআনের এই কপিটি আরবি ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন জর্জ সেল নামের একজন অনুবাদক।
এর আগে রাশিদা তালিব বলেছিলেন, ‘এটি আমার নিকটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ বেশিরভাগ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইসলাম একটি বিদেশী ধর্ম। মুসলিমরা এখানে শুরু থেকেই ছিল, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অনেকে ইসলাম সম্পর্কে বর্তমান কংগ্রেস সদস্যদের চাইতে বেশী জানতেন।’
পবিত্র কুরআন নিয়ে শপথ গ্রহণের সময় থোব নামের একধরনের ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন রাশিদা। সেখানে তিনি বলেন, ‘অভিবাসীদের প্রত্যেক সন্তান জানে এর মানে কি। তাদের সবচেয়ে বড় আশা হচ্ছে এই যে, তারা আমাদের সফল দেখতে চায়। কিন্তু তারা একই সাথে এটা দেখতে চায় না যে, আমরা যেখান থেকে এসেছি এবং যাদের অংশ তা যাতে ভুলে না যাই।’
বার্তা সংস্থা দ্যা ডেটরোইট ফ্রি প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তিনি পবিত্র কুরআন হাতে শপথ নিতে চান কারণ তিনি একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে বিশ্বাস করেন।’ রাশিদা তালিব বলেন, ‘পবিত্র কুরআন হাতে শপথ নেয়ার মাধ্যমে আমি দেখাতে চেয়েছি যে, আমেরিকার নাগরিকগণ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছেন এবং আমরা সকলেই ন্যায় বিচার আর স্বাধীনতাকে ভালোবাসি। আমার বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই আমি বাস করি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা.) সবসময় স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের কথা বলতেন।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম কংগ্রেসওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন সোমালিয়ার বংশোদ্ভূত ইলহান ওমার। আর ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব দ্বিতীয় নারী হিসেবে কংগ্রেসওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র: মিয়ামিহারলাড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।