পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমবিএস বলেন, ‘যদি শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দেল ওয়াহাব আজ আমাদের মধ্যে থাকতেন এবং তিনি আমাদেরকে তার গ্রন্থের প্রতি অন্ধভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাকে আরাধ্য দেবতা ও পবিত্র জ্ঞান করার সময় ব্যাখ্যা ও নীতিশাস্ত্রে প্রতি আমাদের অন্তর বন্ধ দেখতে পেতেন, তাহলে তিনিই প্রথম এ বিষয়ে আপত্তি জানাতেন। দর্শনের কোনো নির্দিষ্ট স্কুল নেই এবং বিচ্যুতিহীন কোনো ব্যক্তি নেই। আমাদের উচিত সর্বদা কুরআনের পাঠ্যের ব্যাখ্যায় নিযুক্ত থাকা এবং নবীজীর আদর্শ পালনে নিমগ্ন থাকা।’
এমবিএস অরো বলেন, ‘কেউ একজন গিয়েই চক্রটি পুনরায় উদ্ভাবন করতে পারবে না। মানুষের জীবন রক্ষণাবেক্ষণ করে, এমন স্পষ্ট আইনগুলো বিশ্ব অনুসরণ করে। আমাদের ভূমিকা হ’ল সউদী আরবে পাশ করা সব আইন যেন উল্লেখিত বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে তা নিশ্চিত করা, যাতে সেগুলো কুরআন এবং নবীজীর সুন্নাহ লঙ্ঘন না করে। কুরআন আমাদের সংবিধান; যেন সেগুলো আমাদের স্বার্থের বিরোধিতা না করে; যেন সেগুলো নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংরক্ষণ করে এবং যেন সেগুলো দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই এ ধারার ওপর ভিত্তি করেই আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী আইন পাস করা হয়।’
সউদী নেতৃত্বের জন্য ওয়াহাবিবাদ শুধুমাত্র যে জোরদার উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা ছিল তাই নয়, সেইসাথে এটি তখন অকেজো প্রমাণিত হয়েছে, যখন একটি নতুন সহিংস হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। আরব অভ্যুত্থানের প্রভাব এবং ইসলামিক স্টেটের উত্থান থেকে শুরু করে ইরান ও তুরস্কে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পর্যন্ত একাধিক কারণ সউদী আরবকে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার দিকে আরো বেশি মনোযোগ দিতে এবং ওয়াহাবিবাদের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন তুলে নিতে বাধ্য করেছে।
ইতোমধ্যে সউদী আরব রাশিয়া এবং ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে ওয়াহাবি মসজিদ এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭ সালের অক্টোবরে মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে একটি বৈঠকের সময় বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ মসজিদগুলোর অর্থায়ন এবং ওয়াহাবি তরিকায় ধর্মান্তরের কার্যক্রমের লাগাম টানতে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিয়াদ এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখে এবং বেলজিয়ামের বৃহত্তম মসজিদটির নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে দাঁড়ায়, যা চরমপন্থার প্রজনন ক্ষেত্র হিসাবে কুখ্যাত।
ওয়াহাবিবাদ এখন আর বিশ্বমঞ্চে সউদী আরব বা অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বা উদ্দেশ্য হিসেবে পরিগণিত নয়। একইভাবে, এ ভয়ানক ও সহিংস তরিকার ধর্মগুরুদের বাতিল ঘোষণা, মহিলাদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং সামাজিক চলাফেরা ও নারী-পুরুষের মেলামেশা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলকরণের সাথে সাথে সউদীর ঘরোয়া বিষয়গুলোর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ওয়াহাবিদের নাক গলানোর ক্ষমতা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এখন, যদি সউদী রাষ্ট্র ওয়াহাবিবাদের উপযোগিতা সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে অতীতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলেও দেশটি পরিবর্তনের এ নয়া স্রোতকে উল্টো দিকে প্রবাহিত করতে সক্ষম হবে না। কারণ, ওহাবিবাদ রাজনৈতিকভাবে মøান হরে যাওয়ার বহু আগেই আদর্শগতভাবে নিঃস্ব হয়ে গেছে এবং সউদী আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে ধীরে ধীরে এটি একটি গৌণ খেলোয়াড় হিসাবে তার উপযুক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে। সূত্র : নিউজ লাইন্স ম্যাগাজিন (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।