Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:২৭ এএম

‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ/ধন্যি রাজার পূণ্যি দেশ’ বাংলা সাহিত্যে খনার বচন নামে পরিচিত। এই কথাগুলোর যে সত্যতা রয়েছে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কারণ, মাঘের শেষের বৃষ্টি সবসময়ই যেন আশীর্বাদ।

বিশেষ করে ফসলের জন্য দারুণ উপকারী। দীর্ঘ খরা ও বৃষ্টিহীন শীতে প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে উঠে তখন এক পশলা বৃষ্টি যেন ফসলের জন্য অনেক সুফলই বয়ে নিয়ে আসে। তাই শুক্রবারের মতো (০৮ ফেব্রুয়ারি) শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে রাজশাহীর কৃষকদের মুখে।নামছে থেমে থেমে বৃষ্টি, কয়েক থেকেই দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডা পড়ছিল। সকালে সূর্যোদয়ের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গরমে ভিজেছেন শ্রমজীবী মানুষের শরীর। তবে সন্ধ্যার পর আবারও লেগেছে ঠাণ্ডা। এতে কিছুটা বিপর্যস্তই হয়ে উঠেছিল নগরজীবন। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আবহাওয়া ছিল মেঘমেদুর। আকাশজুড়ে কখনও রোদ কখনও মেঘ যেন খেলা করেছে দিনভর। এর মধ্যে হু-হু করে বয়েছে ঠাণ্ডা বাতাস। বিকেল পাঁচটা বাজতেই বৃষ্টি নামে রাজশাহীর আকাশে।

শুরুতেই এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় উত্তরের এই শুষ্ক জনপদ। এরপর সামান্য বিরতি দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছেই। ফলে মাঘের শেষ সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আবারও বেড়েছে। পথের ধারের ছিন্নমূল মানুষগুলো শনিবার আবারো পড়েছেন দুর্ভোগে। তবে এই বৃষ্টিতে খুশি হয়েছেন গ্রামের কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, এই বৃষ্টি বোরোসহ মাঠে ফসলের জন্য আশীর্বাদ। আমের মুকুলের জন্যও এই মুহূর্তের হালকা বৃষ্টি প্রয়োজন।

এদিকে ছুটির দিন বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মহানগরীর নিচু রাস্তাগুলো এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোথাও স্থায়ীভাবে বৃষ্টির পানি জমেনি। তবে এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে যানবাহন চলাচলও কম লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার রাতে রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীতে সকালে দেখা মেলেনি সূর্যের। একই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। গত কয়েকদিন ধরে শীত একটু কম অনুভূত হলেও শনিবার তার তীব্রতা বেড়েছে।

পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম আরও জানান, রাজশাহীতে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ্টি

১৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ