নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোন রোমাঞ্চ ছাড়াই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে ভারত। কিউইদের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ৭ বল হাতে রেখে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ভারতের এটিই প্রথম জয়।
ব্যাটে-বলে আধিপত্য দেখিয়েই জয়টি তুলে নেয় ভারত। বল হাতে টসজয়ী কিউই শিবিরের টপ অর্ডার ধ্বসীয়ে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। পঞ্চম উইকেটে টেলর-ডি গ্র্যান্ডহোমের ৪৭ বলে ৭৭ রানের দারুণ জুটির পরও তাই সংগ্রহটা চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিতে পারেনে স্বাগতিকরা। পরে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে টি-২০তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে দলকে জয়ের রাস্তায় রেখে যান দলপতি রোহিত। সেই রাস্তায় হেটে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রানের জটিতে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এমএস ধোনি ও ঋষব পন্ত।
প্রথম ম্যাচে দুই কিউই ওপেনার টিম সেইফার্ট ও কলিন মুনরো বরেন যথাক্রমে ৩৪ ও ৮৪ রান। শুক্রবার দু’জনই ফেরেন সমান ১২ রান করে। ক্রুনালের বোলিং তোপে দ্রæত আরো ২ উইকেট হারিয়ে তাদের স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৪ উইকেটে ৫০ রানে। এ অবস্থায় শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন রস টেইলর ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন টেইলর, গ্র্যান্ডহোম ছিলেন মারমুখি। ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৮ বলে ৫০ রান করা গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন ক্রুনালের ছোট ভাই হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর বø্যাক ক্যাপ বাহিনীর রানের গতি কমে যায়। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ৩টি চারে ৩৬ বলে ৪২ রান করেন টেলর। ম্যাচসেরা ক্রুনাল ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
জবাবে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান ৫৬ বলে ৭৯ রানের জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। ২৯ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান করে আউট হন রোহিত। এই পথে অষ্টম ওভারে কিউই লেগ স্পিনার রীতেন্দ্র সোধিকে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ডটি নতুন করে লেখান রোহিত। মার্টিন গাপটিলকে (৭৬ ম্যাচে ২২৭২ রান) টপকে এই রেকর্ড গড়লেন রোহিত (৯২ ম্যাচে ২২৮৮ রান)।
এই সংস্করণে ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এদিন ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত। এখন তাঁর ছক্কাসংখ্যা ১০২। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ক্রিস গেইল (১০৩) আর গাপটিলের (১০৩) দখলে। গাপটিল যেহেতু সিরিজে নেই সামনের ম্যাচে তাই রোহিতের সামনে সুযোগ তাদের ছাড়িযে যাওয়ার। সর্বোচ্চ ৫০+ স্কোরের রেকর্ড অবশ্য রয়েছে রোহিতের (২০বার) দখলেই আছে।
রোহিত আউট হওয়ার পর ভারতের দরকার ছিল ৬৮ বলে ৮০ রান। ৮ বল পর আউট হন রানের জন্য লড়তে থাকা ধাওয়ানও (৩১ বলে ৩০)। এরপর ঋসভ পন্ত ও বিজয় শঙ্কর জুটি যোগ করে ১৭ বলে ৩০। এরপরই আসে পন্ত-ধোনির সেই অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রানের জুটি। পন্ত ২৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে, ধোনি করেন ১৭ বলে অপরাজিত ২০ রান।
আগামী ১০ ফেব্রæয়ারি হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচ।
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (সাইফার্ট ১২, মানরো ১২, উইলিয়ামসন ২০, মিচেল ১, টেইলর ৪২, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫০, স্যান্টনার ৭*, কুগেলাইন ২, সাউদি ৩*; ভুবেনশ্বর ১/২৯, খলিল ২/২৭, হার্দিক ১/৩৬, ক্রুনাল ৩/২৮, চাহাল ০/৩৭)। ভারত : ১৮.৫ ওভারে ১৬২/৩ (রোহিত ৫০, ধাওয়ান ৩০, পন্ত ৪০*, শঙ্কর ১৪, ধোনি ২০*; সাউদি ০/৩৪, কুগেলাইন ০/৩২, ফার্গুসন ১/৩১, স্যান্টনার ০/১৬, সোধি ১/৩১, মিচেল ১/১৫)। ফল : ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে ২-২ সমতা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ক্রুনাল পান্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।