Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে গুড়িয়ে দেয়া হলো ৩ দিনে ২৪০টি ভবন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক লুসাই কন্যা কর্ণফুলী রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার তৃতীয় দিনে আরও ৪০টি অবৈধ ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দখলদারেরা নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন ৩০টি ভবন। এ নিয়ে টানা তিন দিনের অভিযানে উচ্ছেদ হয়েছে ২৪০টি ছোট বড় ভবন। এরমধ্যে জেলা প্রশাসনের অভিযানে ১৪০টি ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। বাকি ১০০টি ভবন ও স্থাপনা আংশিক বা পুরো সরিয়ে নেয় দখলদাররা। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ একরের বেশি জায়গা উন্মুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো চলবে উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত সোমবার থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। প্রথম দফায় নগরীর সদরঘাটের লাইটারেজ জেটি এলাকা থেকে শুরু হয়ে অভিযান চলবে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত। এ অংশে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। কয়েক দশক ধরে কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়েওঠা এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে কল-কারখানা, গুদাম, আড়তসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বারবার নোটিশ দেয়ার পরও নদীখেকো দখলদাররা তাদের অবৈধ দখলি স্বত্ত¡ ছাড়েনি। নানা হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে প্রভাবশালী দখলদাররা পিছু হটতে শুরু করে। গতকালও নিজেদের উদ্যোগে অনেক স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে তারা। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত কর্ণফুলীর উত্তর পাশে অবৈধ স্থাপনাগুলো থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে গতকাল শতাধিক শ্রমিক অভিযানে নামে। তাদের সহযোগিতায় ছিল র‌্যাব-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুই শতাধিক সদস্য। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর, সিডিএসহ ১০টি সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থতিতে দিনভর চলে উচ্ছেদ। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, দুই দিনে উচ্ছেদকৃত ভবনের অংশবিশেষ সরানোর কাজেই ব্যস্ত ছিলেন শ্রমিকেরা। বুলডোজার ও এস্কেভেটর দিয়ে বহুতল এবং সেমিপাকা ভবন ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে নিচ্ছে শ্রমিকরা। এরপর উন্মুক্ত করা জমি দখলে নেয়া হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বলেন, ভাঙ্গা অংশ সরিয়ে নেয়ার কাজে বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া দখলদাররা নিজেদের উদ্যোগে যেসব ভবন আংশিক উচ্ছেদ করছে সেগুলোও ভাঙ্গতে হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে সবকয়টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।



 

Show all comments
  • ash ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪০ এএম says : 0
    240 VOBON GURIE DEWA HOESE, ETA KI DESHE R JONNY KHOTI NA LAV ?? JARA GORIB ODER JONNY OBOSHO E KHUB E KHARAP ! KINTU POROSNO HOCHE ORA JOKHON TOIRI KORE TOKHON KENO PULISH BA MINSUPALTI BADHA DAY NA?? SHOKTO LAW KENO KORA HOY NA??? PULISHER ASHOLE KAJ TA KI?? ONNAY JE KISU KORAKE BADHA DEWA , TAI NA>??? KOYEK BOSOR POR POR BULDOJAR DIE SHOB DOKHOL DAR BARI GHOR VEGGE DICHE, ODER FIRST PLACE E KORTE BADHA DEWA HOY NA KENO?? MOHOLLAR CHAIRMAN, KOMMITIONAR KI KORE?? KHALI KI GHUSH E KHAY?? R PULISH???
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ