Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে খামারে স্বামী স্ত্রী খুন

মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দী

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৩৬ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বড় ছেলের গড়ে তোলা গবাদি পশুর খামার দেখাশুনা করতে গিয়ে বাবা-মা খুনের ঘটনায় হওয়া মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেওয়ার পর পরই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই সৈয়দপুর থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান পাশাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আটক রাজ্জাককে নীলফামারী আদালতে হাজির করা হলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক জাহিদ হাসান তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ সময় নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক ওই আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। জবানবন্দীতে নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক দম্পতি নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুনকে একাই খুন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন মূলতঃ বারংবার ছুটি চেয়েও ছুটি না পাওয়া, অকারণে গালমন্দ করা এবং পরকীয়ার অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি ওই দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন। ঘটনার দিন ভোরে প্রথমে তিনি গৃহবধূ সালমা খাতুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী নজরুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করেন নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় দম্পতির ছুরি আঘাতে তিনি (নৈশ প্রহরী) গলায় জখমপ্রাপ্ত হন। নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক মূলত মনের তীব্র ক্ষোভ থেকেই তাদের আঘাত করে। এ সময় তার আঘাতে ওই দম্পতি গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হলে তাদের পুরোপুরি হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে দুর্বৃত্তদের ওপর দায় চাপানোর ফন্দি থেকে তাদের হত্যা করে। এরপর সে নিজেই গুরুতর আহত হওয়ার ভান করে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথম রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর সেকান থেকে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হলে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় তাকে। আর রিলিজ পাওয়ার পর পরই সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুধুপুর বালাপাড়া ছেলে গড়ে তোলা একটি গবাদিপশু র খামার দেখাশুনা করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন নজরুল ইসলাম ও সালমা খাতুন দম্পতি। নিহত দম্পতির বড় ছেলে সোহেল রানা এলাকার হাজী আসলাম উদ্দিনের ১৮০ শতক জমিতে ওই গবাদিপশুর খামারটি গড়ে তোলেন। এ খুনের ঘটনর একদিন পর ২৮ জানুয়ারী দম্পতির বড় ছেলে মো. সোহেল রানা ৪জন সন্দেহভাজন আসামীর নাম উল্লেখপূর্বক সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সৈয়দপুর থানার মামলা নং ১৭,তাং-২৮/০১/২০১৯ইং।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ