রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কৃষি বিভাগের খাতা কলমের হিসেবে বগুড়ায় এবারো বেড়েছে আলু চাষের জমির পরিধি। ফলন ও হয়েছে বাম্পার। পাইকারি হাট বাজারে বেড়েছে সরবরাহ। তবে ক্রেতার অভাবে আলুর বাজারে ঘটেছে দর পতন।
বাজারে উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অনেক আলু চাষীই ক্ষেতের আলু তুলে তা’ বাজারজাত করতে হারাচ্ছে আগ্রহ।
গত সপ্তাহ জুড়ে বগুড়ার খুচরা বাজারে পাকড়ি (লাল) আলুর দাম কেজি প্রতি ১৫ টাকায় নেমে এসেছে।
পাইকারি হাটে আলু আরো কমে ৫ শ’ টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে ডায়মন্ড জাতের হল্যান্ড আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ৪শ’ ৫০ টাকা। এছাড়া গ্রানুলা সাদা জাতের জাতের আলুর দাম প্রতিমন নেমে এসেছে মাত্র ৩শ’৫০ টাকায়।
বগুড়ায় মোট সবজি আবাদের ৫০ শতাংশ এলাকা এখন আলুর দখলে। এ জেলার চাষীরা নভেম্বর ডিসেম্বরে আলু
আবাদের পর ফেব্রুয়ারি মার্চে আলু তুলে ওই জমিতেই বোরো ফসল আবাদ করে থাকে। সাধারণত জমির আণু বিক্রি করে আলু বিক্রির টাকায় সংসার খরচের পর বাকি টাকা বিনিযোগ করা হয় বোরো চাষের পেছনে। অথচ আলুর পাইকারী বাজাওে ধস নামায় আলু চাষীদেও অনিহার কারণে চাষকৃত আলুর জমির প্রায় ৩০ শতাংশ আলু এখনও জমিতেই রয়ে গেছে। একারণে এবার বগুড়ায় বোরো চাষেও ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে।
পরিবেশ ও মাটির কারণে উত্তরের অন্যান্য জেলার চেয়ে বগুড়ায় আলুর ফলন বেশি হয়। বগুড়ার গোকুলের আলু চাষী আতিকুর বলেন, গত বছর আলুর বাজার ভালো ছিল। তাই এবার আলু চাষির সংখ্যা ও জমির পরিমাণ বেড়ে যায়। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ১৫/১৬ হাজার টাকা খরচ হয়। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ে প্রায় ১০ টাকা। তাই তার মত সবাই বিপাকে পড়েছে আলু নিয়ে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এবার উত্তরের ১৬ জেলায় তিন লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে শুধু বগুড়ায় ৬০ হাজার ২শ’৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৯ মেট্রিক টন।
উত্তরের ১৬ জেলায় হিমাগারের সংখ্যা দেড় শতাধিক। এসবের ধারণক্ষমতা ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৮শ’৭০ মেট্রিক টন। বাজারে দাম কম হওয়ায় হিমাগারের ধারণ ক্ষমতার পুরোটাই মজুদ করা হচ্ছে এবার।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বগুড়ায় গত বছরের তুলনায় প্রায় চার হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে আলু চাষীরা পাচ্ছেননা ন্যায্য মুল্য।
বগুড়ার মহাস্থান ও বগুড়া,জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলার সংযোগ স্থল মোকামতলার পাইকারী আলুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় আলুর স্তুপ, নেই ব্যাপারীদের হাঁক ডাক, নেই তাদেও উৎসাহ উদ্দীপনা। ফলে উৎপাদক চাষী বা আড়তদাররা মাথায় হাত দিয়ে অপেক্ষায় আছে পাইকারদের হাঁক ডাকের। কিন্তু চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হওয়ায় সামর্থবানরা বস্তাবন্দী করে রাখছে আলু, তাদের ধারণা, সামনে হয়তো বাড়বে আলুর দাম!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।