Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লৌহজংয়ে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় চিন্তিত চাষিরা

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জ। এই জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আলু। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে এ বছর লৌহজং উপজেলায় আলুর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। গতবছর আলুর বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষক আলুচাষে আবার আগ্রহী হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়।
প্রান্তিক চাষিরা খুব চিন্তিত। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রোপণ করা আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জমিতে পুনরায় আলু রোপণ করতে হয়েছে। গত শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় নিচু জমিগুলোতে বৃষ্টির পানি জমেছে তাই পুনরায় আলুর বিজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা। তাই তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে ফসলের মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অধিক লাভের আশায় আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লৌহজং উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আলু আবাদ করছেন তারা তাই এবছর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন প্রান্তিক কৃষকরা। এ মৌসুমে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের নওপাড়া, খেতেরপাড়া এবং বৌলতলী ইউনিয়নের বড় নওপাড়া, গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হাড়িদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আলুর চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলায় আলু চাষে ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তাই এবার ৩৩শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা আলু ক্ষেতে কীটনাশক, সার প্রয়োগ এবং আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কোন কৃষক ঘরে বসে নেই। প্রতিদিন সকাল হলেই ক্ষেতে বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা।
উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হাড়িদিয়া গ্রামের কার্তিক দাস জানান, এ বছর তিনি ১০ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তার ৭ একর জমির রোপনকৃত আলু নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পুনরায় ৭ একর জমিতে আলু রোপণ করতে হয়েছে। এ বছর আলু চাষে লোকসানে পড়বেন বলে জানান তিনি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং আলুর ফলন ও ভালো দাম পেলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। কিন্তু এবার জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় আগাম আলু চাষ ব্যাহত হয়। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আলু উত্তোলন শুরু হবে বলে আসা করছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বাজারে উত্তরবঙ্গের আগাম জাতের আলু পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, উপজেলায় আলু চাষে ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তাই এবার ৩৩শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এই এলাকার মাটি আলু চাষের উপযোগী। তাই আলু চাষে ব্যাপক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ এবং সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লৌহজংয়ে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ