Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা সঙ্কট শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই, দুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা: রয়টার্সের প্রতিবেদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৫৪ পিএম
বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি হোটেল রেস্তোরাঁ। কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সেখানে পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সহায়তাকর্মীদের। তারা এবার বড় একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়ে নার্ভাসলি কথা বলছেন। বলছেন, সামনেই ওই চ্যালেঞ্জ। তা হলো আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ। 
 
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এক প্রতিবেদনে এমনটা লিখেছেন সাংবাদিক বেলিন্দা গোল্ডস্মিথ। এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার মূলত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের জন্য এর খ্যাতি রযেছে।
 
২০১৭ সাল থেকে সেখানে মিয়ানমারে নির্যাতিত কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। 
 
কক্সবাজারে এমন কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে মিলে ত্রাণকর্মীরা বিশাল বিস্তৃত এলাকায় আশ্রয় শিবির নির্মাণ করার জন্য বনের পর বন কেটে পরিষ্কার করেছেন। কাদামাটি আর বাঁশ দিয়ে সেখানে তৈরি করা হয়েছে কমপক্ষে ৯ লাখ মানুষের আবাসন। এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই হলেন নারী ও শিশু। 
 
দেড় বছর ধরে ১৪৫টি বেসরকারি সংগঠন ও ত্রাণ বিষয়ক এজেন্সির কয়েক হাজার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ওই শিবিরে শৃংখলা ধরে রেখেছে। গড়ে তোলা হয়েছে অধিক টেকসই আশ্রয়স্থল, সড়ক, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও কমিউনিটি বিষয়ক প্রজেক্ট। 
 
কিন্তু এই আশ্রয়শিবিরে যখন জীবনধারণ স্থিতিশীল হয়ে এসেছে তখন ত্রাণকর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট শেষ হওয়ার যেন কোনো লক্ষণই নেই। এর ওপর সেখানে সামনে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। মে মাস থেকে এমন মৌসুম শুরু হয়। মানবিক সেবা বিষয়ক এজেন্সিগুলোর কাজে সমন্বয় করে ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)। এর মুখপাত্র নয়ন বোস বলেছেন, এই আশ্রয় শিবিরে কাজ করা খুব সহজ কাজ নয়। যেসব বিষয়ের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই, এমন অনেক বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে উদ্বিগ্ন। সামনেই মৌসুমি ঝড় বৃষ্টির সময়। এ সময় ভারি বৃষ্টিপাত, আবহাওয়া ও জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা ভীষণ এক চ্যালেঞ্জের বিষয়। অন্য যেকোনো শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলার চেয়ে এতে বাংলাদেশের এই সঙ্কট মোকাবিলা অধিক কঠোর করে তুলেছে। এটা এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় মানবিক কাজ হয়ে উঠেছে।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ