Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক : পোশাকের উপযুক্ত মূল্য বৃদ্ধিতেভূমিকা রাখার আহবান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে, উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিক ইচ্ছায় এবং তৈরী পোশাক খারখানার মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে, কারখানাগুলো নিরাপদ হয়েছে। দেশে একের পর এক গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আইএলও’র পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করতে মালিকদের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় আরো বেড়েছে। কিন্ত তৈরী পোশাকের ক্রেতারা সে অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছে না। আইএলও তৈরী পোশাকের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত আইএলও’র কান্ট্রিডিরেকটর তোমো পতিয়াইনেনের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

টিপু মুন্শি বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাত অনেক প্রতিকুল পরিবেশ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তরিক। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকতার সাথে ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করতে ন্যাশনাল ইনেসিয়েটিভ, এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ আইএলও’র সহযোগিতা পেয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ আইএলওকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবে।

আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগামীতে এ অবস্থার আরো উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আইএলও বিশ^াস করে যে কোন সমস্যা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনার মাধমে সমাধান সম্ভব। শ্রমিকদের কাজের দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির জন্য বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর মত প্রতিষ্ঠানগুলো আরো অবদান রাখতে পারে।

আইএলও বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ হয়েছে, গ্রীন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, শ্রমিকদের মজুরী বেড়েছে। তৈরী পোশাকের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ ক্রেতাদের নিয়ে তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিলে আইএলও কারিগরি সহায়তা ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৈঠক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ