বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহŸান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নেতিবাচক রাজনীতির কারনে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বিগত নির্বাচনেই বিএনপি তা প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উত্তর জেল আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর শোক সভায় এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। সভায় ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুছ সালাম, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে চা চক্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি দেয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন তাদের না যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক, কারণ যাদের দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যে দলের নেত্রী নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডকে উপহাস করার জন্য হত্যাকারীদের উৎসাহিত করার জন্য কেক কাটেন তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না এটাই খুব স্বাভাবিক। বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করার আহŸান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা হাত প্রসারিত করেছি আপনারাও আপনাদের হাত প্রসারিত করুন। তাহলে আপনাদের রাজনীতি বাঁচবে, বিএনপি টিকবে।
ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, প্রবীণ রাজনীতিক নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন সৎ, সাহসী ও ত্যাগী। বাবার সঙ্গে ১৯৮৬ সালে সংসদে ছিলেন। পারিবারিক সম্পর্ক ছিল আমাদের। তিনি মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নীতির প্রশ্নে আদর্শিক যোদ্ধা ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী। সুবিধাবাদী ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল তার।
উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী আদর্শের প্রশ্নে পিছপা হননি। আমি শৈশব থেকে বাবার সঙ্গে দেখেছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তার জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
নুরুল আলম চৌধুরীর ছেলে রাহাত জিসান বলেন, বাবা এত জনপ্রিয় ছিলেন জানতাম না। বাবা ‘বঙ্গবন্ধুর সাংসদ’ পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। বাবার জন্য শোকসভা করায় কৃতজ্ঞতা জানাই। সভা সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।