পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ও মা তুমি মাফ করে দিও। তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলে না....’। নিজের ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়ে শিরায় ‘বিষ’ প্রয়োগে আত্মহত্যা করলেন তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ (৩২)। সর্বনাশা পরকীয়ার জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় এমন ঘটনা ঘটালেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এ চিকিৎসক।
পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানান, স্ত্রীর সাথে একাধিক পুরুষের ‘পরকীয়া’ সম্পর্ক নিয়ে ঝগড়া হয় তার। এরপর ফেসবুকে একটি অভিমানী স্ট্যাটাস দেন তিনি। পরে নিজের শিরায় ইনজেকশন পুস করে বিষ প্রয়োগে আত্মহনন করেন তিনি। তার এমন মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, অচেতন অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারা জানিয়েছেন, শিরায় বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে তার মৃত্যু হয়েছে। ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি- স্ত্রীর সঙ্গে রাতে ঝগড়া করেন আকাশ। ভোর ৪টার দিকে তার স্ত্রী রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আত্মহত্যা করেন আকাশ। তিনি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে তাদের পরিবারের বসবাস।
উল্লেখ্য, স্ত্রী তানজিলা নিজেও পেশায় চিকিৎসক। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য সে আমেরিকা যায়। চলতি মাসে আকাশেরও আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে বুধবার রাতে তিনি বাসায় যান। ভোর সোয়া ছয়টার দিকে আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার ভাই নেওয়াজ মোরশেদ। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আকাশের ফেসবুক পেইজে ভোর পাঁচটার দিকে দেয়া দুটি স্ট্যাটাস আছে। সেখানে তিনি জানান, ২০০৯ সালে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে পরিচয়ের পর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। স্ট্যাটাসের একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে ‘চিটার’ হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও করেন। শেষ স্ট্যাটাসে আকাশ স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি দেন এবং লেখেন- ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে। ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমার সাথে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়। প্রচÐ ভালবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালবাসে। আমরা ঘুরে বেড়াই, প্রেম করে বেড়াই। আমাদের ভালবাসা কম বেশি সবাই জানে। অনেকে বউ পাগলাও ডাকত আমায়। কিন্তু আমিতো বেঁচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম।
আকাশ আরও লিখেন, আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবে না এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালবেসেছিলাম। ভিতর বাহির যদি এক হত। সবাই আমার দোষ দিবে, সবকিছু তাই ব্যাখ্যা করলাম। ও মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালবাসার কখনো তুলনা চলে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।