মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোরে। সোমবার তিনি আরো বলেন, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে মিয়ানমারকে। এর মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, এখনো রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। হেনরিয়েটা ফোরে এদিন মিয়ানমারের রাজধানী ন্যাপিড’তে বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশুরা আশ্রয় শিবিরগুলোতে বিপজ্জনক ও প্রায় আশাহীন অবস্থায় বসবাস করছে। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এখনও রয়ে গেছেন রাখাইনে। সেখানে তারা চলাচলের সীমাবদ্ধতার মুখে রয়েছেন। তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার সীমিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় হেনরিয়েটা ফোরে বলেন, রোহিঙ্গা শিশুরা যে দুর্ভোগ নিয়ে বসবাস করছে তা সমাধানে সহায়ক হতে পারে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন। এ জন্য তিনি মিয়ানমারের দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। কফি আনান কমিশনের ওই সুপারিশে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচল ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ারও সুপারিশ রয়েছে তাতে। কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম কোনো ইউনিসেফ প্রধান মিয়ানমার সফর করছেন। এ সফরে হেনরিয়েটা বলেন, আমরা (মিয়ানমার) সরকারের কাছে আহ্বান জানাই এই অবস্থার অবসান ঘটাতে এবং এর মধ্য দিয়ে সব শিশুর বাস্তবতা নিশ্চিত করতে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন দীর্ঘদিনের। এই জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমার স্বীকার করে না। তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। ফলে তারা রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ সুবিধা পায় না। তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত ও ধর্মীয় নির্যাতনের ঘটনা অহরহই ঘটছে। নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর আগে এমন নির্যাতন ও সঙ্কটের একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান বের করার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি ২০১৬ সালে গঠন করেন কফি আনান কমিশন। কিন্তু সঙ্কট ও পশ্চাৎপদতার কারণে সেই কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হয় নি। ২০১৭ সালের আগস্টে যেদিন ওই কমিশন এ বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশ করে তার একদিন পরেই আরাকান সালভেশন আর্মি (আরসা) নিরাপত্তা প্রহরীদের ওপর হামলা চালায়। তাতে কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হন। এর বদলা নিতে রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, যাকে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জাতি নিধনের উদ্দেশে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।