পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কোম্পানির প্রোফিট বোনাস আটকে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৪০ হাজার করে ৫৮ লাখ টাকার বেশি চাঁদা আদায় করা হয়েছে। আরও অর্ধ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অপরদিকে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে পেট্রোবাংলা। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে একইভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ আদায় করেন তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম নূরুল আওরঙ্গজেব।
আর এ বিষয়টি গোপন রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কোরআন শরীফ ছুইয়ে শপথ করানো হয়। কয়েকজন কর্মকর্তা শপথে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পেট্রোবাংলা নূরুল আওরঙ্গজেবকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে। গত বছরের আগস্টে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চলতি দায়িত্ব নেন মো. ফজলুর রহমান। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা পরিচালক প্রশাসন মো. মোস্তফা কামাল ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা তদন্ত করতে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সামনে একটি পদোন্নতি হবে। সে কারণে আমার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ এসব অভিযোগ দিচ্ছে। চীনা ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত প্রতি বাংলাদেশী শ্রমিককে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে এককালীন বার্ষিক অনুদান হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে এবং মাসিক দেড় হাজার টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারা টাকা দিয়েছে আমরা বিতরণ করেছি। এখনে কোন অনিয়ম হয়নি।
মন্ত্রণালয়ে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, কয়লা খনি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েই তিনি অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বদলির ভয় দেখিয়েও কারো কারো কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। এতে সাড়া না দেয়ায় বেশ কয়েকজনকে অন্যত্র বদলিও করা হয়। এরই মধ্যে চলতি মাসের প্রথম দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রোফিট বোনাস দেয়ার সময় হলে কোম্পানির এমডি মো. ফজলুর রহমান তাদের সকলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা নেন। আর এ মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় অধস্তন দুই কর্মকর্তা কোম্পানির জিএম (অর্থ ও হিসাব) ও ব্যবস্থাপককে (মাইনিং)।
কোম্পানির ১৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির জন্য মাথাপিছু ৬০ হাজার টাকা করে চাঁদা ধার্য করা হয়। এ নিয়ে কোম্পানির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিলে আপাতত চাঁদা কমিয়ে মাথাপিছু ৪০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। এই চাঁদা দিতে বিলম্ব হওয়ায় কোম্পানির ট্রাস্টি বোর্ডের একাউন্টে প্রোফিট বোনাসের অর্থ জমা হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে তা বন্টনও পিছিয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ওই চাঁদা পরিশোধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি ইনকিলাবকে বলেন, মো. ফজলুর রহমান কোম্পানির এমডি হওয়ার পর সকলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা নেন। কয়লা খনি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েই তিনি অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বদলির ভয় দেখিয়েও কারো কারো কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। এতে সাড়া না দেয়ায় বেশ কয়েকজনকে অন্যত্র বদলিও করা হয়। এরই মধ্যে চলতি মাসের প্রথম দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রোফিট বোনাস দেয়ার সময় হলে সকলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন। সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শপথ করানো হয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবারও বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় পেট্রোবাংলার উর্ধ্বতন মহলে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। অবশ্য বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে পেট্রোবাংলা উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে। ইতোমধ্যে কমিটি অভিযোগের বেশ কিছু প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছে। এর আগে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে এমডি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলে ফজলুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে পেট্রোবাংলায় আনা হয়।
ব্যবস্থাপক (মাইনিং) মোশাররফ হোসেন জানান, বাদপড়া শ্রমিকদের প্রোফিট বোনাস দেয়ার জন্য স্থায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। এদিকে গত বছরের ১০ অক্টোবর বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ২৮৪তম বোর্ড সভায় চীনা ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত প্রতি বাংলাদেশী শ্রমিককে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে এককালীন বার্ষিক অনুদান হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে এবং মাসিক দেড় হাজার টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কোম্পানির স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রোফিট বোনাস প্রদানের পূর্বে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে কেটে নেয়া হয়েছে। আউট সোর্সিং হিসেবে চীনা ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত ওই শ্রমিকদের সেই অর্থ প্রদানও করা হয়েছে। এ কারণে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এবার প্রোফিট বোনাস কম পাবে। এরপরও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় কোম্পানির অভ্যন্তরে চাঁপা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।