পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছোট ছোট সাদা রঙের ঢিবি। দেখতে সুন্দর হলেও মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া দিয়ে বানানো এসব ঢিবি মূলত বন উজারের মাধ্যম। স্থানীয়রা এটিকে চুলা বা চুল্লি বলেই চেনে। নির্বিচারে কেটে আনা গাছ এসব চুল্লিতে পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে কয়লা। আর নির্গত ধোয়ার কুণ্ডলী দূষণ ছড়াচ্ছে পরিবেশে। পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে জনজীবন ও জৈববৈচিত্র্য। এসব চুল্লির পরিবেশ দূষণে মারা যাচ্ছে অনেক পশু পাখি। অবৈধ এসব চুল্লির মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউই।
বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির এমন প্রক্রিয়া অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও এসব এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পুরানো। বছরের পর বছর এসব চুল্লিতে টনকে টন গাছ কেটে পোড়ানো হলেও প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বনভূমি উজারকারীরা দিনের পর দিন হয়ে উঠছেন বেপরোয়া।
সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্যে অবাধে বনের কাঠ পোড়ানোর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মোগড়াকান্দা এলাকার প্রভাবশালী আবু সিদ্দিক, দেলোয়ার ও ঈমান আলী সেখানে গড়ে তুলেছেন এসব অবৈধ কয়লা তৈরির চুল্লি। গাছ পুড়িয়ে উৎপাদিত হচ্ছে কয়লা, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও কয়লা উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দেখা যায় শত শত গাছের গুড়ি, পাশে চলছে বড় বড় চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোকালয়ে বসত বাড়ির সন্নিকটে এই সব কয়লা কারখানার বিভিন্ন গাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গাছের গড়ি সংগ্রহ করে প্রতি চুল্লিতে ২২০-২৩০ মণ গাছের গুড়ি ৯ থেকে ১০ দিন পুড়িয়ে অর্ধ শতাধিক চুল্লিতে উৎপাদিত হচ্ছে এসব কয়লা। এসব অবৈধ চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সময় নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিতের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন আশপাশের লোকালয়ের বাসিন্দারা।
এতে যেভাবে বৃক্ষনিধন হচ্ছে সাথে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে পড়তে হচ্ছে শ্বাস কষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। আইনের ব্যবহার না থাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এই সব অবৈধ কয়লা কারখানা, বৈধ কোনো কাগজ পত্র না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়। এছাড়া সেখানে এইসব অবৈধ চুল্লির পাশাপাশি কয়েক ব্যক্তি ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য ও মাছের আইশ শুকিয়ে তৈরি করছে মুরগি ও মাছের খাদ্য। এসব মুরগি ও মাছ খেয়ে নানা বয়সী মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অবৈধ এসব কারখানা মালিকদের হুমকি নিউজ করলে আমাদের আরও লাভ। তবে এলাকাবাসী দ্রুত এসব অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ে অবৈধ এসব কয়লা তৈরির চুল্লি ও মাছ-মুরগির খাদ্য তৈরির কারখানা বন্ধ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।