নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নানা কারণে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসর শুরু করতে পারছে না আয়োজক নেপাল। ইতোমধ্যে তারা দু’দফা পেছালেও গেমস আয়োজনের আশা ছাড়েনি হিমালয় কণ্যার দেশটি। তাই দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমস নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য ভেন্যু হিসেবে থাইল্যান্ডকে বেছে নিয়েছে নেপাল অলিম্পিক কমিটি। আগামী মার্চে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার (ওসিএ) সাধারণ সভা। সেখানেই সাফভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সভায় বসতে চায় এসএ গেমসের আয়োজক নেপাল। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রæয়ারিতে ভারতের গৌহাটি ও শিলংয়ে বসেছিল এসএ গেমসের ১২তম আসর। এরপর পোখারা ও কাঠমান্ডুতে এই গেমস আয়োজনের দায়িত্ব নেয় নেপাল অলিম্পিক কমিটি। কিন্তু ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি নেপালীরা। ওই ভূমিকম্পে দেশটির অধিকাংশ ক্রীড়া স্থাপনাই ধ্বংস হয়ে গেছে। যা সংস্কারে অনেক সময়ের পাশাপাশি লাগবে প্রচুর অর্থও। তাই গেল বছর কাঠমান্ডুতে এসএ গেমস আয়োজনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় চলতি বছরের মার্চ মাসে এই গেমস আয়োজনের নতুন সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। কিন্তু এই দিনক্ষণও শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকেনি। আরো পিছিয়ে গেমস নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি নেপাল অলিম্পিক কমিটি। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একের পর এক ইমেইল বার্তা পাঠিয়েও তাদের কোনো সাড়া পাচ্ছে না। তবে নেপালের বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে সেপ্টেম্বরে গেমস আয়োজনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন অংশগ্রহণকারীরা। হয়তো এ ব্যাপারেই আলোচনা করতে সাফের ছয় দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে থাইল্যান্ডে সভায় বসতে চাইছে নেপাল অলিম্পিক কমিটি। ৩ মার্চ ওসিএ’র সাধারণ সভা শেষে এসএ গেমস নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
ফখরুদ্দিন হায়দার বলেন, ‘নেপালে গিয়ে সভা করলে বেশ খরচা হবে তাদের। ছয় দেশের কর্মকর্তাদের বিমান ভাড়া, হোটেলে থাকা ও খাওয়া। সব মিলিয়ে অনেক অর্থ খরচের ব্যাপার রয়েছে। তাই হয়তো নেপাল ওসিএ’র সাধারণ সভাতেই আমাদের সঙ্গে বসতে চাইছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি নেপাল সেপ্টেম্বরেই এসএ গেমস আয়োজন করে, তাহলে আমরা রাজি থাকবো। কিন্তু আবারো পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে ‘না’ বলা ছাড়া উপায় থাকবে না। কারণ আগামী জানুয়ারিতে নবম বাংলাদেশ গেমসের আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা। যার জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। অক্টোবর থেকেই আমরা সেই প্রস্তুতি শুরু করার কথা ভেবে রেখেছি। বিষয়টি আমরা জানিয়ে দেবো নেপাল অলিম্পিক কমিটিকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।