Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১০ অক্টােবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মাদ ফাহমিদুল বারী রাইয়্যান, খেজুরবাগ, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : প্রত্যেক নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন অপরিহার্য কিনা?
জবাব : প্রত্যেক নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন অপরিহার্য। কোনো নবী সম্পর্কে সামান্যতম তাচ্ছিল্য ও অবমাননা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। নি¤েœ এতদ সংক্রান্ত দলিল প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হলো। যথা : (ক) হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের ন্যায় রাসূলের সাথে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলো না। কারণ এতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের আমলসমূহ নিষ্ফল হয়ে যাবে। (আল হুজরাত-২) (খ) নবীর মাহাত্ম্য ও মর্যাদা মেনে নেয়া তাঁর সাথে আচরণে শালীনতা রক্ষা করা, তাঁর উপস্থিতিতে নি¤œস্বরে কথা বলা, তাঁকে “আল্লাহর নবী” বা “আল্লাহর রাসূল” শব্দে সম্বোধন করা ইত্যাদি উম্মাতের জন্য ওয়াজিব। (তাফসীরে মাজহারী-২/৪১) (গ) ইমাম চতুষ্টয় হতে বর্ণিত, সন্দেহাতীতভাবে ওই ব্যক্তি কাফির যে নবী করীম (সা.) কে গালি দেয় অথবা তাঁকে  হত্যা করা বৈধ মনে করে। (রাদ্দুল মুহতার-৩/৩১৭) (ঘ) সাধারণ আহলে ইলমগণের এ কথার ওপর ইজমা হয়েছে যে, নবী করীম (সা.)-কে গালি দিলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদ-। (আসসারিমুল মাসলুল-০৪) (ঙ) আল্লামা হাসকাফী (র.) বলেনÑ মুরতাদ মুসলমান তওবা করলে তার তওবা গ্রহণযোগ্য এমন কি বার বার মুরতাদ হলেও। (তওবার কারণে তার দ- মওকুফ হবে।) আর কোনো নবীকে গালি দিয়ে কেউ কাফির হলে দ-বিধি অনুযায়ী তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হবে। তার তওবা আদৌ কবুল করা হবে না। কোনো ব্যক্তি আল্লাহতায়ালাকে গালি দিয়ে তওবা করলে তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা আল্লাহকে গালি দেয়া হাক্কুল্লাহ আর নবীকে গালি দেয়া হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক। আর বান্দার হক শুধু তওবা দ্বারা মাফ হয় না। (রাদ্দুল মুহতার-৪/২৩১)
উত্তর দিচ্ছেন : মুফতি মোহাম্মাদ তাহের মাসউদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ