Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব

প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মাদ ফাতহুল বারী
ফাইয়্যাজ, খেজুরবাগ ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর তায়েক হতে প্রত্যাবর্তনকালে কি মোজেজা প্রকাশ পেয়েছিল জানতে চাই?
জবাব : তায়েফ হতে ভগ্নমনোরথ হয়ে ফেরার পথে ওতবা ও শায়বা নামক দুই কোরেশের সাথে তাদের দেয়াল ঘেরা আঙ্গুরের বাগানে হুজুর (সা.)-এর সাক্ষাৎ হয়। নবী করীম (সা.)-এর এই অবস্থা দেখে তাদের মায়া হলো। তারা আপন খ্রিস্টান গোলাম আদ্দাছের মাধ্যমে কিছু আঙ্গুর নবীজীর খেদমতে পাঠিয়ে দেয়। হুজুর (সা.) ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আঙ্গুর ভক্ষণ করতে লাগলেন। আদ্দাছ নবী করীম (সা.)-এর চেহারা মোবারকের দিকে দৃষ্টি করে বলে উঠলÑ এ ধরনের কালাম তো এদেশে কারও মুখে এতদিন শুনিনি। নবী করিম (সা.) তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করে জানলেন, সে ইরাকের মুছেল শহরের নাইনিওয়া অঞ্চলের একজন খ্রিস্টান অধিবাসী। নবী করিম (সা.) তার দেশের পরিচয় জেনে বললেন, ও! তুমি হযরত ইউনূস (আ.)-এর দেশের লোক? আদ্দাছ আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল-কীভাবে আপনি হযরত ইউনূস (আ.) কে চিনেন? হুজুর (সা.) বললেনÑ তিনিও আমার মতো একজন নবী ছিলেন। এ কথা শুনে আদ্দাছ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না। সাথে সাথে কলেমা শরিফ পড়ে সে মুসলমান হয়ে গেল এবং নবী করিম (সা.)-এর হাত ও কদম চুম্বন করল। আপন জাতি তায়েফবাসীগণ নবীজীকে প্রত্যাখ্যান করল, অথচ অপরিচিত একজন বিদেশি লোক নবীজীকে চিনে মুসলমান হয়ে গেল। একেই বলে ‘বাতির নিচে অন্ধকার’!
এ সময়ই নাখলা নামক স্থানে রাত্রিবেলা নামাজের মধ্যে নবী করীম (সা.)-এর কোরআন তিলাওয়াত শুনে নাসিবাইনের সাতজন জিন মুসলমান হয়ে গেল। তায়েফ সফরে মাত্র একজন মানুষ ও সাতজন জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল। তায়েফের ঘটনা থেকে এই শিক্ষাই গ্রহণ করতে হবে যে, সত্য প্রচারের জন্য চরম বিরোধিতার মুখেও অসীম ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সফলতার জন্য আল্লাহর দরবারে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহ অন্য কৌশলে সফলতা দান করবেন।
এই সফর থেকে ফিরে আসার কিছু দিন পরেই নবুয়তের দ্বাদশ সালে রজব মাসের ২৭ তারিখ সোমবার পবিত্র মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়। মনে হয় ভবিষ্যতের কর্ম পদ্ধতি সম্পর্কে একান্তে গোপন আলোচনার জন্যই আল্লাহতায়ালা আপন হাবীব (সা.) কে নিজেই নিভৃতে ডেকে নিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন : ‘আল্লাহপাক তাঁর প্রিয় হাবীবকে স্বশরীরে মিরাজে নিয়ে গেলেন রাত্রির কিয়দাংশে-তাঁর কুদরতি নিদর্শনসমূহ দেখাবার জন্য।’ (সূরা বনী ইসরাঈল ১ম আয়াত)। আরও ইরশাদ করেনÑ ‘তাঁর সাথে গোপন আলাপ করেছেন’ (সূরা নজম)। এই গোপন আলাপের কতটুকুই বা মানুষ জানে? ওই গোপন আলাপের নামই ইলমে গায়েব, ইলমে আছরার ও ইলমে হাক্বায়িক।
জবাবটি চয়ন করেছেন : মোহাম্মদ ফাহমিদুল বারী দাইয়্যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ