Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে একই পরিবারের নিহত ৪

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৭ পিএম

কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি মানিক-৩ নামে একটি লঞ্চের ধাক্কায় একটি খেয়া নৌকা ডুবিতে একই পরিবারের ৪জন নিহত হয়েছে। তাদের ৪জনের লাশই উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই নিহত রোজিনা পারভিন(৪৫) ও তার জাল মমতাজ বেগম(৫০) এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।আজ শনিবার(২৬জানুয়ারী) সকাল ৮টায় নিহত রোজিনা পারভিনের স্বামী মোঃ মতিউর রহমানের(৫২) এবং দুপুর ২টায় একমাত্র শিশু পুত্র তামিম(৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ২জনের লাশও ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আকাশ(২০)নামে পরিবারের এক যুবক প্রাণে বেঁচে গেছে।

নিহত রোজিনা পারভিনের ভাই বাবু জানান, তার বোন রোজিনা পারভিনের স্বামী মতিউর রহমান কালিগঞ্জ হাজী মজিবর রহমান মার্কেটের একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছিলেন। তার ওই মার্কেটে মা-বাবার দোয়া নামে একটি গার্মেন্টস এর দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাতে বোনের স্বামী মোঃ মতিউর রহমান, বোন রোজিনা পারভিন, ভাগ্নে তামিম,বোনের জাল মমতাজ বেগম ও মমতাজের ছেলে আকাশকে সাথে নিয়ে তৈলঘাটে আসে।এসময় রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকায় আমার বোনের স্বামী মতিউর রহমানের বড় ভাই মোঃ ফিরোজ মিয়ার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা একটি খেয়া নৌকাযোগে সদরঘাট টার্মিনাল যাচ্ছিল। তাদের নৌকাটি নদীর মাঝখানে আসামাত্র সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের একটি পল্টুনে থাকা এমভি মানিক-৩ নামে একটি লঞ্চ হঠাৎ পিছনের দিকে আসার সময় তাদের নৌকাটিকে সজোড়ে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়া নৌকাটি ডুবে যায়। এতে বোনের স্বামী মতিউর রহমান,বোন রোজিনা পারভিন,ভাগ্নে তামিম ও বোনের জাল মমতাজ বেগম পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়।তবে নৌকার মাঝি ও মমতাজের ছেলে আকাশ(২০ )সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে প্রাণে বেঁচে যায়। রাজধানীর ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টারের সাব অফিসার মোঃ শাজাহান আলী বলেন,খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই নিখোঁজ রোজিনা পারভিন ও মমতাজ বেগম নামে দুইজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করি। আজ সকাল ৮টায় নিখোঁজ মতিউর রহমানের লাশ এবং দুপুর ২টায় মতিউর রহমানের ছেলে তামিমের লাশ উদ্ধার করি। সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, শুক্রবার(২৫জানুয়ারী) রাত ১২টায় ২জনের এবং আজ শনিবার ২জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ এমভি মানিক-৩ লঞ্চ টিকে আটক করেছে।নিহতদের স্বজন আসাদুল ইসলাম জানান, একই পরিবারের ৪জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে ৪জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌকা ডুবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ