Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রতিশোধে বিপন্ন শিশুর জীবন

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

 কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবা সাহাবউদ্দিনকে স্বামী হিসেবে না পাওয়ার প্রতিশোধেই আড়াই বছরের শিশু আল ওয়াসীমে রাতের আঁধারে মাতামুহুরী নদীতে নিক্ষেপে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক মুন্নি আক্তার। 

গতকাল বুধবার বিকেলে মুন্নি আক্তারকে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে গেলে বিচারক রাজীব কুমার দেব’র কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মুন্নি। এ সময় নিজেকে এই হত্যাকাÐে জড়িয়ে এই জবানবন্দি দেয়। এতে মাত্র দুইদিনের মাথায় আলোচিত এই হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটনসহ এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শিশু আল ওয়াসী হত্যাকাÐের ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি মুন্নি আক্তারকে আটক করা হয় বাপের বাড়ি থেকে ঘটনার রাতেই। এরপর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাÐের সবকিছু স্বীকার করে।
ওসি জানান, জবানবন্দিতে মুন্নি আক্তার জানায়, শিশু আল ওয়াসীর বাবা সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সেইসূত্রে দুইজনের মধ্যে বিয়ের কথা থাকলেও তাকে ছেড়ে রুনা ইয়াছমিনকে বিয়ে করে সাহাব উদ্দিন। এ কারণে তার জীবন তছনছ হয়ে যায়। তাই সাহাব উদ্দিনের জীবনও দুর্বিষহ করে তুলতে তার শিশুপুত্রকে হত্যার পথ বেঁছে নেয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঘাতক মুন্নি জবানবন্দিতে আরো জানায়, ঘটনার দিন সোমবার বিকেল চারটার দিকে শিশু আল ওয়াসী বাড়ির কাছের সড়কে খেলছিল। এ সময় একটি চিপস দিয়ে ওয়াসীকে কোলে তুলে সবুজবাগের বিলের মাঝখানের পথ দিয়ে স্বপ্নপূরী ক্লাবের সামনে যান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর একটি টমটমযোগে পৌরশহরের চিরিঙ্গা পুরাতন বাসস্টেশনে গিয়ে নামেন। এরপর কোলে করে হেঁটে মাতামুহুরী নদীর সেতুর একেবারে মাঝখানে গিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করেন শিশু ওয়াসীকে। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জীবন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ