পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে জায়েজ করতে আওয়ামী নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আগের রাতে ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা, কৃত্রিম লাইন তৈরী করে ভোটাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে না দেয়া, মহাজোট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটের ফলাফল সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ঘোষণা করা, নির্বাচনের আগে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয় কারাগারে নয়তো এলাকাছাড়া করা, এসবই হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ভূয়া ভোটে এমপি-মন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে এখন বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে জায়েজ করতে আওয়ামী নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আলোচনাকে ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। গত কয়েকদিন আগে সোহরাওয়ার্দীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ও ভূয়াভোটের সরকারের মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ডাকাতিকে এড়িয়ে গেছেন, যা দেখে গণমাধ্যমের কর্মীরাও বিস্মিত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে-শনিবারের জনসভায় বহু মানুষের চোখ ছিল-নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কি বলেন, কিন্তু তা নিয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেছেন-বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী কথা বলে সবক দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, রাতের আঁধারে ভোট দিয়ে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনী কাজে ব্যবহার করে, বিরোধী দলকে নির্মূল করে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হরিলুট করে এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখে শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি গণতন্ত্রের সমাধিসৌধের ওপর কোন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান? আসলে শেখ হাসিনার মুখে সুশাসনের অর্থ হলো দেশব্যাপী মৃত্যুর দোলাচলে এক মরণ-হরণের অভিযান, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা। কারণ তিনি নাটকীয় ভঙ্গিতে যা বলেন তার উল্টোটাই বাস্তবায়ন করেন। পৃথিবীতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার রেকর্ড একমাত্র শেখ হাসিনারই। শেখ হাসিনা সাড়ম্বরে এখন ভাল ভাল উদ্যোগের কথা বলে মানুষের মন থেকে তাঁর অপকীর্তি মুছতে পারবেন না।
সময় থাকতে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তা না হলে সরকারের বিপজ্জনক অবতরণ হবে। তাই দ্রুত নিজে পদত্যাগ করে দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত¡াবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিন। সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পেতে ঐক্যবদ্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।