পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্রের আয়নায় নিজেকে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুুদু। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আয়নায় নিজেকে দেখুন। দেখলে দেখবেন আপনি স্বৈরতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনার এই চেহারা গণতন্ত্রের সাথে যায় না। ৭১ সালের স্বাধীনতার সাথেও আপনার চেহারা যায় না। সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৩০ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে এটা লজ্জার নির্বাচন। এটাকে কোন নির্বাচন বলা যাবে না। এটি নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে। কোনো সুষ্ঠু স্বাধীন গণতান্ত্রিক জাতি এবং এ দেশের মানুষও এটাকে মেনে নেয়নি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে তিনি বিজয় উৎসবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমি তাকে সমর্থন করতাম যদি তিনি নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করতেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, এদেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে ভোট ডাকাতি বলেন, ভোট চুরি বলেন, আর যাই বলেন, এরকম একটি নির্বাচনকে যারা জায়েজ করে তারা দুর্নীতির বিচার করতে পারবেন, দুর্নীতি বাদ দিতে পারবেন- এটা আমরা মনে করি না।
দুদু বলেন, ৩০ তারিখে ভোট হয়নি, ভোট হয়েছে ২৯ তারিখের মধ্য রাতে। ৩০ তারিখ ভোট হলে আপনাকে অভিনন্দন জানাতাম। আপনি পুলিশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে রেখেছেন, পুলিশ এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারে না। আমার প্রশ্ন পুলিশ তো সরকারি চাকরি করে, কেন তাদের এরকম ভাবে ব্যবহার করলেন। আপনারা র্যাব, ডিসি-এসপি, টিএনও যারা মর্যাদাশীল এই চাকরিজীবীদের জাতির সামনে এতো ছোট করলেন কেনো? তাদেরকে কেন বাধ্য করলেন তথাকথিত ভোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে?
তিনি বলেন, বিএনপি হয়তো এই অবস্থায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নাই। কিন্তু এ কথা ভাবার কোনো কারণ নাই, আগামী ৫ তারা (সরকার) ক্ষমতায় থাকবে। কারণ যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় অসত্যের পতন হয়। সত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন যা চলছে তা অসত্য।
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যদি ডাকাতি করতে পারে তাহলে ব্যবসায়ীরা করতে পারবে না কেনো। স্বৈরতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্রের পরাজয় সার্বজনীন, দীর্ঘকালীন চলতে থাকবে এ কথাটা ঠিক নয়। গণতন্ত্রের কাছে স্বৈরতন্ত্রের পরাজয়-পতন হবে। পূর্বে কেউ ঠিকে থাকতে পারে নাই, এখনও পারবে না। এ জন্য আমাদের সর্বশেষ কথা হচ্ছে উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে দাঁড়ানো অর্থই হচ্ছে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা। গণতন্ত্র ধারণ করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, সময় থাকতে বোঝার চেষ্টা করেন, আপনার পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। ২০১৪ সালের নির্বাচন যা ২০১৮ সালের নির্বাচন তা। দেশে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নাই, এখন আছে পুলিশ, প্রশাসন, র্যাব। একদিনের জন্য পুলিশ প্রশাসন যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ বুঝবে কত ধানে কত চাল। আসলে পুলিশ দিয়ে তারা শুধু গণতন্ত্রে ধ্বংস করে নাই আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান কামালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।