Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই সরকার লজ্জাহীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বর্তমান সংসদকে ‘ভুয়া সংসদ’ অবিহিত করে ‘ভুয়া জনপ্রতিনিধির’ হাত থেকে দেশ রক্ষায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিবি। গতকাল সিপিবির সমাবেশে বোমাহামলার ১৮ বছর পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এই ডাক দেয়া হয়। দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই সরকার লজ্জাহীন। রাতের আধারে পুলিশ দিয়ে জনগণের ভোট ডাকাতি করেছে। এই সরকার শ্রমিক, সাধারণ মানুষের অন্ন হরণকারী, জনগনের ভোট ডাকাত।
পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকান্ডের ১৮ বছরেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের দাবি জানানো হয়। এ সময় দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করতে সিপিবি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করছে। পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে তৈরি অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা।
মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, ২০০১ সালে যারা এই হামলা করেছে তারা সিপিবিকে দাবায়ে রাখতে চেয়েছিল। বোমা মেরে, পাঁচজনকে হত্যা ও শত মানুষকে আহত করে তারা সিপিবিকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। এই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য শোষণ-বঞ্চনা, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে রাতের আধারে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হিসেবে অবিহিত করে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের তামাশা করে ভুয়া ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়, তারা ভুয়া প্রতিনিধি। এই ভুয়া প্রতিনিধিদের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে রুটি রুজির সংগ্রাম চালাতে হবে। তিনি বলেন, তাঁদের লড়াই ভাতের জন্য, ভোটের জন্য। ভোট ও ভাতের লড়াই ঠিকমতো না করতে পারলে লুটেরা ধনিক শ্রেণি তাদের স্বার্থে বোমা হামলা চালাবে। প্রগতিশীল আন্দোলনগুলোকে আঘাত করবে। গুম-খুন-হত্যা অব্যাহত থাকবে।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারী রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় সিপিবি নেতা হিমাংশু মন্ডল, আবদুল মজিদ, শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন শতাধিক। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হামলায় আহত ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সিপিবির সাধরণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের মুক্তি আনতে হবে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। মেহনতি মানুষ সংগঠিত নয়, তাই সবাইকে সংহত ও শক্তিশালী করে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বিেেল সিপিবি প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিপিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ