Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নদী ভাঙন রোধ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত গড়াই নদীতে কামারখালী বাজার রক্ষার্থে নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বাস্তবায়ন করছে ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট। ইতোপূর্বে ৫টি প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে এই বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙন প্রতিরোধের টেন্ডার আহ্বান করেন নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট। তার মধ্যে রাজবাড়ি জেলায় দুটি এবং ফরিদপুরে ৩টি। প্রথম পর্যায় কামারখালী বাজার সংলগ্ন প্রকল্পটির কাজটি শুরু হয়েছে। উক্ত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁশের প্রকল্পটির সিডিউলে উল্লেখ আছে প্রতিটি বাঁশ ৬/৮ ইঞ্চি পরপর একটি করে বাঁশ পুততে হবে। উচ্চতার মধ্যে রয়েছে মাটি গর্ভে থাকবে ১৩ ফুট এবং উঁচুতে থাকবে ১২ ফুট। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিয়মের সাথে যে ধরণের বাঁশ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা তা না দিয়ে নিম্মমানের বাঁশ দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায় নি। অনেক খোঁজাখুজির পরে নাইটগার্ড আশরাফকে পাওয়া যায়। তার নিকট প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছ্ইু জানি না, আমি শুধু পাহাড়া দেই। এ বিষয়ে বলতে পারবে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত ঠিকদারী প্রতিষ্ঠানের পার্টনার ওমর ফারুক। তিনি এই প্রকল্পের বাঁশ সরবরাহ করেছেন।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পিডি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম জানান, প্রথম পর্যায় কিছু বাঁশ খারাপ এনে ছিলো। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বাতিল করে দিয়ে নতুন বাঁশ এবং সিডিউল মোতাবেক কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছি।

কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু জানান, আমরা জেনেছি নদী গবেষণার ওমর ফারুক এই প্রকল্পের সঙ্গে পার্টনার হিসেবে কাজ করছেন। প্রথম পর্যায় প্রকল্পের বাঁশগুলি খারাপ দেখে আমি নদী গবেষণা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি এবং তাদের বলেছি এই গড়াই নদীর ভাঙনে আমাদের এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কামারখালী ব্রিজ থেকে শুরু করে বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রবের বাড়ি পর্যন্ত নদী ভাঙন। ওই এলাকার কয়েকটি রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে। আমরা বীর শ্রেষ্ঠ আব্দুর রবের স্মৃতি পাঠাগার যাবার জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, আমি এই প্রকল্পের সাথে জড়িত নই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি আমার এলাকায় তাই আমি ওখানে যাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী ভাঙন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ