বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আর্ন্তজাতিক নিয়মনীতি এবং ৩০ সালা মেয়াদী গঙ্গার পানি চুক্তি ভারত উপেক্ষা করায় পাবনা এবং এর আশপাশের অনেক নদ-নদী শুষ্ক মওসুম শুরু (খরা) হওয়ার আগেই পানি শূণ্য হয়ে পড়ছে। চলতি বছর জানুয়ারী মাসে দ্বিতীয় সার্কেলেও বাস্তবে পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে দেখা যাচ্ছে না। পদ্মা নদীতে পানির টান পড়ায় প্রায় ৪০টি নদীতে পানির কমতে শুরু করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি কমে গেছে। বালু কেটে নদী বুকইে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। একদিকে পদ্মায় পানি শূন্যতা অন্যদিকে নিয়ম না মেনে বালু কাটায় বৃটিশ আমলে নির্মিত ৮ম আশ্চর্যের একটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পিলার পাশ থেকে সরে যাচ্ছে মাটি ও বালু, নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে ব্রিজ। এটি হলে আর এক বিপর্যয় নেমে আসবে। পানি শূণ্য নদীতে চলছে দখলবাজী আর বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার কাজ। পরিবেশ পানিহীন নদীতে আর্বজনার কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে মানুষের রোগ ব্যধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। পদ্মা নদীর শাখা প্রধান শাখা নদী গড়াই, আত্রাই, বড়াল নদী এখন পানির জন্য হাহাকার করছে। এই নদীর সাথে অন্যান্য শাখা নদী গুলোতেও পানির টান পড়তে শুরু করেছে। নদী নির্ভর সেচ কার্য ব্যহত হয়ে পড়েছে। মাছ কমে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের পিক শুষ্ক সময় এপ্রিল-মে মাসে নদীর বুক ফেটে চৌচির হবে আর বৃষ্টি না হলে কৃষি জমি ফেটে যাবে। বুক ফাটা চোখের অশ্রু ঝরবে। প্রমত্তা পদ্মা নদীর মতই বড়াল নদী। এই নদীর অনেক শাখা নদী আছে। এই নদী শুধু শাখা নদী নয় উপনদী হিসেবেও কাজ করছে। পদ্মায় পানির টান পড়ায় বড়াল নদী তার বুকে ধারণ করা পানি যমুনা নদীতে দিতে পারবে না। পাবনার ইছামতি নদী শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। এই নদী হুরাসাগর নদীর উপ নদী। শুষ্ক মওসুমে দেশের এই অবস্থা দেখে পানি সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা ১৯৯৬ সালে ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে ৩০ সালা মেয়াদি গঙ্গা চুক্তি করেন। চুক্তির প্রথম বছর ১৯৯৭ সালে পহেলা জানুয়ারীতেও পানি ঠিক মত আসেনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখলেখি হলে ২ বছর পর সামান্য পানি ছাড়া হয় ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে ,এতে প্রবাহ বাড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিস্তা চুক্তি ভারত না করায় এবং দেশের নদ-নদীর করুণ দশা দেখে ,‘বলে ছিলেন , আমরা ভাটির দেশ, কত দিন পানি দেবে না।’ তিনি একটি পরিকল্পিত উদ্যোগের কথা বলেছিলেন ,যা স্মরণ করা যেতে পারে, তিনি নদ-নদী বিশেষ করে পদ্মা-যমুনা ড্রেজিং করে নদীর গভীরত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। এটি বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব নয়। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন দেশ বাঁচাতে তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, এক্ষেত্রেও সেটি করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।