প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী সম্প্রতি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন। সরাসরি নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গিয়ে বক্তব্য না দিলেও গণমাধ্যমে তার মতের জানান দেন। তিনি যে নৌকার পক্ষে সেটি নানাভাবে জানিয়েছেন।
একাদশ নির্বাচনের পর মৌসুমীর রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছে। স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার। এ জন্য তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন। মৌসুমী মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদীও।
তবে মনোনয়নপত্র কেনার পরই একটি বিতর্কের তীর তার দিকে ধেয়ে আসছে। যেটি তাকে বেশ পীড়া দিচ্ছে, অনেকটা বিপদে ফেলে দিচ্ছে। সেই বিতর্ক ও সমালোচনার উৎপত্তি একটি ছবি কেন্দ্র করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর একটি ছবি দেখা গেছে। যেই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এ ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশ উৎসব নামে দেশজুড়ে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকতেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। সেই অনুষ্ঠানগুলো মাতিয়ে রাখতেন নায়িকা আর গায়িকারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এমনই একটি উৎসবে একজন গায়িকা তার গানের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাবা ও তারেক রহমানকে ভাই হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে নায়িকা মৌসুমীও উপস্থিত ছিলেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর পর মৌসুমীর রাজনৈতিক অবস্থান ও আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন সামনে চলে আসে। অনেকের মতে, তার অবস্থান ভিন্ন রাজনৈতিক ধারায়। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার এফডিসিতে মিডিয়ার মুখোমুখি হন মৌসুমী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ধরনের ছবি ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে এগুলোকে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়দর্শনী মৌসুমীর ভাষ্য, আমি তো আগেই বলেছি- এগুলো নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। শিল্পী হিসেবে অনেকেই আমাকে ডেকেছেন। গিয়েছি। আমি আগে কখনও বলিনি, কোনো দলের কিংবা কারও হয়ে কাজ করতে চাই। তা হলে এই প্রশ্ন কেন আসছে? আমি এত বছর সততার সঙ্গে কাজ করেছি, অমন প্রশ্ন তুলে আমাকে ম্লান করে দেবেন না প্লিজ।
পুরনো ছবিটি এই সময়ে সামনে এনে তার রাজনীতিতে আসার উৎসাহকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য মৌসুমীর । যারা তা করছেন, তাদের এই পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন-জাসাস আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মৌসুমীর সাফ কথা, তিনি কখনই বিএনপিতে যুক্ত ছিলেন না।
মৌসুমী কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়-জানিয়ে এই নায়িকা বলেন, কোন দল করব, এটি আমার সিদ্ধান্ত। আমার যদি মনে হয়, এই নেতার জন্য কাজ করলে আমার ভালো লাগবে, তা হলে তাই করব। আমাকে ভুল বোঝার কোনো অবকাশ নেই।
গত নির্বাচনে অন্য তারকারা প্রচারে সরাসরি অংশ নিলেও আপনি কেন নেননি-এমন প্রশ্নে মৌসুমী বলেন, আওয়ামী লীগের যারা আমায় ডেকেছেন আমি তাদের বলেছি, আমার সমর্থন আপনাদের সঙ্গেই আছে। কিন্তু প্রচারে যেতে চাই না। কারণ আমি আসলে সাহস পাইনি।
নিরাপত্তার কারণে যেতে পারেননি জানিয়ে মৌসুমী বলেন, আমি ইনসিকিউরড (অনিরাপদ) ফিল করেছি। এত মানুষের সামনে গিয়ে কথা বলব, ভোট চাইব, সেই সাহসটা পাইনি। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। কেন সংসদে যাওয়ার আগ্রহ হলো সেই প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায় মৌসুমীর জবানিতে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার তাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
বলেন, কিছু দিন আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার পড়লাম। তিনি বলেছেন, এই পঞ্চাশ আসন (সংরক্ষিত নারী আসন) তিনি নিজে নির্ধারণ করবেন। তখন আমার মনে হলো, আমারও আবেদন করা উচিত। তাই হুট করে মনোনয়ন কিনে ফেললাম।
মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সায় আছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে মৌসুমী বলেন, এটি আমার এখানে বলা ঠিক হবে না। উনি কাকে মনোনয়ন দেবেন, সেটি উনার বিষয়। আর আমি বলেছি কিনা- তাও বলতে চাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।