প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : প্রয়াত পরিচালক দীলিপ সোম পরিচালিত ‘দোলা’ সিনেমাতে প্রথম জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ওমরসানী ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ১৯৯৩ সালের ২ নভেম্বর রায়হান মুজিব পরিচালিত ‘আত্মঅহংকার’ সিনেমার শুটিং-এর সময় সেইদিন ওমরসানী তার নিজের একটি স্বর্ণের চেইন উপহার দিয়েছিলেন মৌসুমীর জন্মদিনের আগের দিন। সেই থেকে ওমরসানী মৌসুমীর প্রেম, ভালোবাসার শুরু। শুরু একসঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে সিনেমায় অভিনয় করা। বিগত ২৩ বছরে মৌসুমী ওমরসানী ৪০টি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এবার তারা কাজ করছেন তাদের অভিনয় জীবনের ৪১তম সিনেমায়। বদিউল আলম খোকন পরিচালিত কাশেম আলী দুলালের গল্পে তারা দু’জন অভিনয় করছেন ‘হারজিৎ’ সিনেমায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় স্বপ্নীল-থ্রি’ শুটিং হাউজে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছে। এতে ওমরসানী মৌসুমী স্বামী স্ত্রীর ভূমিকাতেই অভিনয় করছেন। এর আগে বদিউল আলম খোকনের নির্দেশনায় ওমরসানী মৌসুমী দুটি আলাদা সিনেমায় অভিনয় করলেও এবারই প্রথম তারা দু’জন খোকনের নির্দেশনায় একই সিনেমায় অভিনয় করছেন। ওমরসানী বলেন, ‘এর আগে বদিউল আলম খোকনের রাজা বাবু সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। বেশ ভালো একটি সিনেমা ছিল এটি। আমি অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। দিতি আপার সঙ্গে ওটা ছিল আমার শেষ সিনেমা। মৌসুমীর সঙ্গে হারজিৎ সিনেমায় কাজ করছি। আমি এবং মৌসুমী যথারীতি স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। বেশ ভালো একটি গল্পের সিনেমা এটি। খোকন যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন। আমি খুব আশাবাদী তার এই সিনেমাটি নিয়ে।’ মৌসুমী বলেন, ‘এর আগে খোকন ভাইয়ের নির্দেশনায় মান্না ভাইয়ের সঙ্গে রুস্তম সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করা হয়ে উঠেনি। বহু বছর পর তার নির্দেশনায় কাজ করছি। বেশ ভালো লাগছে এই কারণেই যে খুব গুছানো একটি ইউনিটে মনের মতো কাজ করতে পারছি। সঙ্গে যেহেতু সানী আছে তাই ক্ষণে ক্ষণে তার জন্য চিন্তা থেকে মুক্ত আছি। চোখের সামনেই আছি দু’জন একে অন্যের। হারজিতের গল্পটা খুব ভালো। দেখা যায় যে এই সময়ে এসে আমি গল্প এবং চরিত্র দুটোই বেশ গুরুত্ব দেই। মন থেকে সায় না দিলে কাজ করি না।’ ওমর সানী মৌসুমী জুটির প্রথম চলচ্চিত্রে ছিলো ‘দোলা’। এটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। এরপর একই জুটি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আত্ম অহংকার’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘হারানো প্রেম’, ‘গরীবের রানী’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘মিথ্যা অহংকার’, ‘ঘাত প্রতিঘাত’, ‘লজ্জা’, ‘কথা দাও’ ‘¯েœহের বাঁধন’ ইত্যাদি। তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ চলচ্চিত্র হচ্ছে শাহীন সুমনের ‘সাহেব নামে গোলাম’। এটি ২০০৯ সালে মুক্তি পায়। এর সাত বছর পর তারা জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন প্রয়াত বেলাল আহমেদের নির্দেশনায় ‘ভালোবাসবোই তো’ চলচ্চিত্রে। এটি সেন্সর সনদপত্র লাভ করেছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।