ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুতির ১৬ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে খুলনা ও ঈশ্বরদী থেকে দু’টি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধারে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এ দুর্ঘটনার জন্য বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-খুলনা, খুলনা-রাজশাহী, খুলনা-রাজবাড়ী, খুলনা-চিলাহাটীগামী ট্রেনগুলো আজও চলেনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোটাচাঁদপুর স্টেশনে প্রবেশের আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ঝিনাইদহের কোটাচাঁদপুর রেলস্টেশনের অদূরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর তিনটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রেনের শত শত যাত্রী। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় স্টেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যাত্রা বাতিল করা ট্রেনগুলো হলো- খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন আপ-৭২৫ এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন ডাউন-৭২৬ এক্সপ্রেস। এছাড়া খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া চিলাহাটিগামী সীমান্ত আপ-৭৪৭ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আলমডাঙ্গা পর্যন্ত গিয়ে যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।