Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অ্যাডহক কমিটি নিয়ে হতাশ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ ক’বছর ধরে চললে অ্যাডহক কালচার। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনে যেখানে নতুন নির্বাচন দেয়ার কথা, সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তা করেনি। তারা একের পর এক অ্যাডহক কমিটি গঠন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই অ্যাডহক কমিটির অধীনে দেশের বেশ কিছু গুরুত্ব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন দিনের পর দিন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠকরা। কারণ এসব অ্যাডহক কমিটিতে বেশ অযোগ্য ব্যাক্তিকে জায়গা করে দিয়ে দেশের খেলাধুলাকে আরো পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমনি মৃত ব্যাক্তিকে ঠাঁই দেয়া হয়েছে এই অ্যাডহক কমিটিতে। যা সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।

দেশে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা অনেক আগেই অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। নতুন অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে কিছুদিন আগে ‘জুজুৎসু’কে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ‘জুজুৎসু’ মার্শাল আর্টের একটি খেলা। ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের তালিকায় যা স্থান পেয়েছে ৫৩ নম্বরে। তবে হতাশ করা কান্ড হলো এই তালিকার প্রায় অর্ধেকই চলছে অ্যাডহক কমিটির অধীনে। আর এ নিয়েই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। দায়িত্ব নিয়েই নাকি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের তালিকার ৫৩ টির মধ্যে ২১টিই চলছে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে। ৪০ ভাগ ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনে অ্যাডহক কমিটি থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন রাসেল। বুধবার ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় বসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি সবার কথা শুনেছেন। প্রায় পৌনে তিন ঘন্টা শুনে মিনিট পনের বক্তব্য দিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের নতুন এইঅভিভাবক। তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। তার বক্তব্যে ছিল কিছু সতর্কবাণীও, খারাপ লাগার কথাও। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি অ্যাডহক কমিটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,‘যে সব ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনে অ্যাডহক কমিটি আছে শীঘ্রই সেগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি, আপনারা নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রæত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনুন।’

মতবিনিময় সভা করে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক কিছুই বেরিয়ে এসেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ আলোচনায় অনেক কিছু জানলাম। এরপর আরেকটি বৈঠক করবো। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে যে প্রতিশ্রæতিগুলো আছে, তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। বাস্তবায়নের জন্য সবার মতামত নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করতে চাই আমি।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ