২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মারণ ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় হলুদ থেকে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করার দাবি করেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজীব গান্ধি প্রদ্যোগিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষকদের দাবি, তারা সম্প্রতি হলুদ থেকে এমন একটি আণবিক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন, যা ক্যানসার নিরাময়ে আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্কট-রোগী ওই দুই অণুর নাম দেয়া হয়েছে-‘সিটিআর-১৭’ ও ‘সিটিআর-২০’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পীযূষ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, আবিষ্কারের প্যাটেন্টের জন্য ইতিমধ্যেই আমেরিকার কাছে নাম পাঠানো হয়েছে। ত্রিবাদী জানান, হলুদ প্রতি ঘরেই থাকে। হলুদের ভেষজ গুণ সম্পর্কেও সকলে ওয়াকিবহাল। জীবাণুনাশক উপাদান থাকায় বহু রোগের উপশমে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তিনি যোগ করেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর এই দুই অণুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলো ক্যানসার নিরাময়ে চমৎকার কাজ দিয়েছে। এখন সময় হয়েছে বাস্তব জীবনে এর পরীক্ষা করার। কিভাবে ক্যানসারের মোকাবিলা করে ‘সিটিআর-১৭’ ও ‘সিটিআর-২০’? ত্রিবেদীর সহ-গবেষক সি কার্তিকেয়ন জানিয়েছেন, মানবদেহের কোষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে টিবিউলিন নামের একটি বিশেষ প্রোটিন। টিবিউলিনের জন্য কোষ-বিভাজনের সময় ক্রোমোজোম পৃথকীকরণ হয়। পাশাপাশি. কোষের মধ্যে যোগাযোগ, কোষের উন্নয়ন ও তার আকৃতির রক্ষণাবেক্ষণ, কোষের পর্দায় অণুর বণ্টনসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করে এই টিবিউলিন। কার্তিকেয়নের ক্ষরণকে আটকে মানব শরীরে ক্যানসার-আক্রান্ত কোষগুলোর বিভাজন ও বিস্তার রোধ করে এই আবিষ্কৃত অণু। তিনি জানিয়েছেন, কানাডার অ্যাডভান্সড মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-বিজ্ঞানী হিউন লি’র টিমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।