Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলা নাম পেয়ারা। ইংরেজি নাম : এঁধাধ, বৈজ্ঞানিক নাম : চংরফরঁস মঁধলধাধ পেয়ারা একটি দ্রুত বর্ধনশীল গ্রীষ্মকালীন ফল। বাংলাদেশের সর্বত্রই এ ফল জন্মে থাকে। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও পানি রয়েছে। মূলত এটি বর্ষাকালীন ফল, কিন্তু এখন প্রায় সবসময় এই ফলটি পাওয়া যায়। পেয়ারা অতি জনপ্রিয়। দামে সস্তা ও সহজলভ্য। পেয়ারায় ভিটামিন ‘সি’র পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ আছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগায়, দৃষ্টি ভালো রাখে, ঠা-াজনিত অসুখ দূর করে। ত্বক ভালো রাখার জন্য পানি খুবই জরুরি। তবে সরাসরি পানি খেয়ে এই চাহিদা পূরণ করা কঠিন। পেয়ারায় রয়েছে অনেক পানি। যা মানুষের ত্বকের কোমল ভাব ধরে রাখে দীর্ঘদিন। তাছাড়া শীতে ত্বক ও গোড়ালি ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। মজার ব্যাপার হলো- একটি পেয়ারায় চারটি কমলা লেবুর সমান পুষ্টিগুণ থাকে। শিকর, গাছের বাকল, পাতা এবং অপরিপক্ব ফল কলেরা, আমাশয় ও অন্যান্য পেটের পীড়া নিরাময়ে ভালো কাজ করে। ক্ষত বা ঘাঁতে থেতলানো পাতার প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারার কচিপাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়। খাদ্য হিসেবে পেয়ারা থেকে জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি হয়। আমলকী অড়বরই পেয়ারা-ভিটামিন সি-এর রাজা। তাই সুস্থ, নীরোগ থাকতে যদি চান, সপ্তাহে অন্তর একটি হলেও পেয়ারা খান। সর্বশেষে এ সত্যটি মনে রাখুন-নিজের যতœ না নিলে নিজে, অন্যের ওপর ভরসা মিছে। 

ষ ডা. মাও. লোকমান হেকিম
চিকিৎসক, কলামিস্ট
মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেয়ারার পুষ্টিগুণ
আরও পড়ুন