পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বই পড়ার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলার কারণেই আজকের যুবসমাজ নানা অপরাধ জগতে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিতই এখন বই কিনেন না আবার সংগ্রহে থাকার পরও পড়েন না। সুতরাং ব্যক্তি ও পরিবারকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এবং সমাজকে উন্নত করতে বই ও পাঠাগারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বই আমাদের আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করবে।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বই মেলা আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গনে আয়োজিত সপ্তাহ ব্যাপী বই মেলা আয়োজন করা হয়।
বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সুশীল সমাজের অংশ হিসেবে বিচারক এবং আইনজীবীবৃন্দকে মনে রাখতে হবে- ধৈর্য, তিতিক্ষা ও সাধনা ছাড়া জ্ঞানের দীপশিখা জ্বলবে না। আইন শিক্ষার পাশাপাশি আমাদেরকে বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্প, কাব্য, দর্শন এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক জ্ঞান অর্জনে ব্রতী হতে হবে। তথ্য প্রযুক্তিরও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ গৌরবের শীর্ষ শিখরে পৌঁছানোর জন্য বই পড়ার বিকল্প নাই।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মানব সভ্যতার অগ্রগতি নির্ভর করে শিক্ষা তথা জ্ঞান-বিজ্ঞানের উপর। আর বই-ই জ্ঞান অর্জনের প্রধান মাধ্যম এবং জ্ঞানের প্রকৃত ধারক ও বাহক। এ বিশ্বের বড় বড় জ্ঞানী ব্যক্তিরা বইপ্রেমিক ছিলেন। কারণ বই পড়ার মধ্য দিয়ে মানুষ বিশাল জ্ঞানরাজ্যে প্রবেশ করে এবং অনেক অজানার দিগন্তকে উন্মোচিত করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধুমাত্র পাঠ্যসূচির কয়েকটি বই পড়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিতেই জ্ঞানের পূর্ণতা অর্জন করা যায় না। এ জন্য বহুমুখী প্রতিভা অর্জন ও বিচিত্র জ্ঞানের জন্য নানা ধরনের বই পড়তে হয়। জ্ঞানার্জনের নির্দিষ্ট বই এবং নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই। বই আত্মার খোরাক জোগায়। অন্ধকার যেমন আলো ছাড়া দূরীভূত করা যায় না, তেমনি বই ছাড়া কেউ জ্ঞানী হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, একটা সভ্যতাকে ধ্বংস করতে মহা কোনো পরিকল্পনার প্রয়োজন নাই। ঐ সভ্যতার সবগুলো বইও পুড়ে ফেলার কোনো দরকার নাই। শুধু মানুষকে বই পড়া থেকে বিরত রাখতে পারলেই তা হয়ে যাবে। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভাইস-চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মাহবুবে আলম, সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।