Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি এখন কী করবে

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পর বিএনপিতে হতাশা নেমে আসার খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বলা নিষ্প্রয়োজন, এমন ফলাফলের জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না দলটি। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পেলেও একটি সম্মানজনক অবস্থান থাকবে- এমনটি আশা করেছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিদের অনেকের ধারণা ছিল বিএনপি অন্তত দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। বিএনপি নেতারা অবশ্য ভোটের আগেই বলেছিলেন যে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তাহলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। নির্বাচনের পরে তারা অভিযোগ করছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে বিজয়ী আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও মাঝখানে গণফোরামের দুই এমপি শপথ নেবেন বলে দলটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিল, তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সে সিদ্ধান্ত থেকে দলটি সরে এসেছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ একেবার অমূলক বলা যাবে না। নড়বড়ে সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে জেতা কতটা সম্ভব ছিল সেটা বেশ বড় প্রশ্ন। তাই বলে সারাদেশে মাত্র পাঁচটি আসন জেতার মতো জনসমর্থনহীন নয় বিএনপি। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকালীন যেসব ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, তাতে ক্ষমতাসীনদের শক্তির কাছে বিএনপিকে অসহায়ই মনে হয়েছে। রাজনীতিতে সাংগঠনিক শক্তির যেমন বিকল্প নেই, তেমনি সময়ে সময়ে মাঠ দখলের জন্য শক্তিরও দরকার হয়। আওয়ামী লীগ যেভাবে এবার ভোটের মাঠ দখলে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে বিএনপি কেন ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলো না-এ প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে অবিরত অভিযোগ করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে ভোটের মাঠ দখলে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে কোনো ভ‚মিকা পালন করতে পারেনি। এ অভিযোগ তুঁড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তবে, দুই প্রতিপক্ষের একটি যখন দৃশ্যত হীনবল থাকে, অপেক্ষাকৃত বলবান পক্ষ সহজেই মাঠ দখলে নিয়ে নেয়। এটাই যে কোনো লড়াই বা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অবধারিত।
প্রশ্ন হলো, বিএনপি কেন ভোটের মাঠে তাদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যর্থ হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে কেউ বলতে পারেন, পুলিশের মারমুখী আচরণ বিএনপিকে হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। ‘গায়েবি মামলা’ ও অব্যাহত গ্রেফতার তাদেরকে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ মামলায় জর্জরিত। পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের কারণে তারা স্বগৃহে অবস্থান করতে পারেনি। তাই বলে আরো নেতাকর্মী কি ছিল না? তারা কেন মাঠে নামল না? এ ক্ষেত্রেও বিএনপি মামলা-হামলার ভয়কে অজুহাত হিসেবে উপস্থাপন করছে। এমনও দেখা গেছে, বিএনপির প্রার্থীরাই এলাকায় যাননি বা যেতে পারেননি। যুদ্ধরত সৈনিকরা যদি ময়দানে সেনাপতিকে না দেখে, তারা তো অস্ত্র খাপে ভরে যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবেই। তারপরও কিছু নেতা মাঠে যে ছিলেন না তা নয়। তারা শেষ পর্যন্ত মাঠে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোকাবিলারও চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচনী মাঠ বিএনপির অনুকূলে ছিল না, এটা বেঠিক বলা যাবে না। নানা কারণেই বিএনপি ছিল বেকায়দা অবস্থায়। দলের যিনি মূল নেতা- চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী। দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমান আদালতের দেয়া দন্ড মাথায় নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় বিএনপির অবস্থা ঠিক কান্ডারিহীন নৌকার মতো। এ দু’জনের পরিবর্তে দলের নেতৃত্ব যাদের দেয়ার কথা, তাদের মধ্যে রয়েছে এক অন্যকে না মানার প্রবণতা, রয়েছে গ্রুপিং-কোন্দল। মনোনয়ন দেয়া নিয়ে ঘটেছে নানা ধরনের ঘটনা। যার বিস্তারিত প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে।
বর্তমান বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা গোপন কোনো বিষয় নয়। এমন একটি জেলা বা উপজেলা পাওয়া যাবে না, যেখানে বিএনপির দুই-তিনটি গ্রুপ নেই। এ কোন্দল ও গ্রুপিং বিএনপিকে এগোতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহুবার কোন্দল নিরসনের চেষ্টা করেছেন, পারেননি। দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই এসব কোন্দলের মূল কারণ। তারা স্ব স্ব এলাকায় নিজ আধিপত্য ধরে রাখতে গ্রুপিং সৃষ্টি করেন। এসব কারণে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ক্রমশঃ দুর্বল হচ্ছে।
বিএনপি এবারের নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নিয়েছিল কি না, এমন সন্দেহও রয়েছে অনেকের মধ্যে। তারা বলছেন, একটি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে হলে যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার, বিএনপির তা ছিল, এটা দলটির পরবর্তী কার্যক্রমে লক্ষিত হয়নি। কেমন যেন একটি গা ছাড়া ভাব ছিল নেতাকর্মীদের মধ্যে। এদের মধ্যে একটি অংশ ছিল মামলায় আক্রান্ত, আরেকটি অংশ ছিল মামলার ভয়ে ভীত। এই ভীতসন্ত্রস্ত কর্মীদের অভয় দেয়ার জন্য নেতারা তাদের পাশে ছিলেন না। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন একজন আমাকে বলেছেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনটি নিয়ে কোনো হোমওয়ার্কই করেনি। কোন পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাও তারা ঠিক করতে পারেনি। ঢাকায় বসে কতিপয় নেতা বিবৃতি আর ব্রিফিংয়ের তুবড়ি উড়িয়েছেন শুধু। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি খেদাক্ত কণ্ঠে বললেন, ঠিক আছে, ধরে নিলাম সরকারি দল শক্তি প্রয়োগ করে বিএনপি কর্মীদের মাঠে থাকতে দেয়নি। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা কি পাল্টা শক্তি প্রয়োগ করে মাঠে থাকার চেষ্টা করেছে? তারা সেটা করেনি। আর এসব কারণেই নির্বাচনী মাঠে ক্ষমতাসীনরা একক আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বয়ং সে কথা স্বীকারও করেছেন। গত ৫ জানুয়ারি নোয়খালীর সুবর্ণচরে নির্যাতিতা গৃহবধু পারুলকে দেখতে গিয়ে সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, ‘শৃঙ্খলা না থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি’। কর্মীরা যখন শ্লোগান দিচ্ছিল, তখন মির্জা আলমগীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘প্লিজ থামেন। শুধু শ্লোগান দিলেই হবে না। সব নিয়ে গেছে। আপনারা কেউ বাধা দিতে পারেন নাই। কারণ আমরা সংখ্যায় অনেক, আবেগ অনেক। কিন্তু শৃঙ্খলা নেই। সারা বাংলাদেশে এটাই হয়েছে। কেন মরে যাচ্ছি আমরা? কেন রুখতে পারছি না আমরা? কারণ আমরা শৃঙ্খলা না রেখেই যুদ্ধ করে যাচ্ছি।’ বিএনপি মহাসচিবের এ কথার মধ্য দিয়ে দলটির দুর্বলতার প্রধান কারণটি কি স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি?
নির্বাচনের পর বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট কী করবে তা নিয়ে অনেকেরই ঔৎসুক্য ছিল। কেউ কেউ ভেবেছিলেন বিএনপি হয়তো কঠোর কোনো কর্মসূচি দেবে। কিন্তু বিএনপি সে পথ মাড়ায়নি। বরং এক সপ্তাহ পরে যে প্রতিবাদ কর্মসূচি তারা দিয়েছে, তাতে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। গত ৮ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে সরকার ভোটের আগের রাত্রে নৌকায় সিল মেরে বাক্স ভরে এবং সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এর প্রতিবাদে তারা তিনটি কর্মসূচি দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- দ্রুত একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা এবং নির্বাচনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সফর করা। নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে এ কর্মসূচিকে বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকরা হোমিওপ্যাথিক কর্মসূচি বলে অভিহিত করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে, তা দিন-রাত্রির মতো সত্য। কিন্তু সে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেভাবে মাঠে নামা দরকার তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এসব কর্মসূচি জনসাধারণের মধ্যে কোনো ধরনের সাড়া ফেলতে পারবে বলে অনেকেই মনে করেন না।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করলে তাদের ভেতরে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি জমে থাকা ক্ষোভের কথা জানা যায়। তাদের অনেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধানতহীনতাকে আজকের নাজুক পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফ‚ল আলম নিরব বলেছেন, ‘এ নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত হয়নি। নির্বাচনের তিনদিন আগেই কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে বিএনপিকে এ নাজুক পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না’ (সমকাল ২ জানুয়ারি, ২০১৯)। এদিকে নেতাকর্মীরা বিএনপির ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার লাভ লোকসান নিয়েও কথা বলতে শুরু করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি পত্রিকান্তরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও প্রচারে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ না করায় এবং নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের জন্য বিএনপি নেতারা মহাসচিব মির্জা আলমগীর ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে দুষছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টের যে ভ‚মিকা থাকা উচিত ছিল তা থাকেনি। তাছাড়া বিএনপি মহাসচিব সিনিয়র নেতাদের এড়িয়ে পুরোটা সময় ড. কামালের পরামর্শ নিয়েছেন। ফলে বিএনপি দিনে দিনে একটি ছোট দলের ইমেজে চলে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা চান বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত মজবুত হোক। ক্ষুব্ধ এক নেতা পত্রিকাটিকে বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে কেন থাকবে না বিএনপি? ওই নেতা এককভাবে গণফোরামকে একটি আসন দিতে পারেননি। বরং বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তারা এবার দু’টি আসন পেয়েছে। তাই বিএনপির এখন নিজেদের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে।’ এদিকে ঐক্যফ্রন্ট পুনরায় একটি ভালো নির্বাচনের জন্য ধর্না দিয়েছে ঢাকাস্থ বিদেশি ক‚টনীতিকদের কাছে। গত ৬ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সেখানে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের নানা অনিয়মের তথ্য সংবলিত ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেন। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে আরেকটি ভালো নির্বাচন দিতে সরকারকে বোঝানোর জন্য। রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা বিএনপির এ অনুরোধকে অরণ্যে রোদনের সঙ্গে তুলনা করছেন। কেননা, বাংলাদেশে যে কোনো ধরনের নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সরাসরি বলার বা করার কিছু নেই।
তাহলে বিএনপি কী করবে? হ্যাঁ এটি একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে, রাজপথে ঢেউ তোলার সক্ষমতা বিএনপি হারিয়েছে। আর সে হারানোর মূল কারণ তাদের অগোছালো সাংগঠনিক অবস্থা। বিএনপি বিপুল জনসমর্থিত একটি রাজনৈতিক দল, সন্দেহ নেই। তবে, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের গদীতে কাঁপন ধরানোর ক্ষমতা তার নেই। এখন তার শক্তি সঞ্চয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দলটিকে ঢেলে সাজিয়ে দক্ষ ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার দিকে নজর দেয়া উচিত। বিএনপি নেতৃত্বকে অনুধাবন করতে হবে, নেতাকর্মীদের ঐক্যই পারে দলটিতে পুনঃপ্রাণসঞ্চার করতে। দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রেস ব্রিফিং আর চার দেয়ালের ভিতরের সমাবেশে বক্তৃতা যে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর অবলম্বন নয়, এটাও তাদের অনুধাবন করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক



 

Show all comments
  • msIqbal ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    সেদিন শুনলাম বিএনপি 'জাতীয় সংলাপ'র আয়োজন করবে। নেতারা কি সিরিয়াস? 'জাতীয় সংলাপ'র আয়োজন করতে গেলে টাকা পয়সার পাশাপাশি কায়িক পরিশ্রমও যে করতে হবে, নেতারা সেটি ভেবেছেন তো? তার চেয়ে ভালো, বিএনপি 'জাতীয় সংলাপ'র আয়োজন না করে 'আমরা এখন কি করবো?' শিরোনামে একটা 'হেল্প লাইন' চালু করতে পারে! এই হেল্প লাইনে জাতির কাছ থেকে বিএনপির করণীয় সম্পর্কেও হেল্প চাওয়া হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • NAhmed ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    রাজনীতি করতে সততা লাগে, লাগে সাহস বাস্তবে সৎ সাহস এদেশের কোন রাজনীতিকের মধ্যে ছিল না আর নেই.
    Total Reply(0) Reply
  • msIqbal ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    চিন্তার কিছু নাই! আগামী নব্বই দিনের আগেই মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে 'নতুন বিএনপি'কে আমরা সংসদে দেখতে পাবো ইনশাআল্লাহ!!
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি আর নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। আমাদের সমাজ, সংস্কৃতিতে এটাই স্বাভাবিক। কারণ নিজেকে যে যতই সাধু হিসেবে প্রচার করুক না কেন, নিরপেক্ষতার ছুরিতে কে আত্মাহুতি দিতে চায়? চার চারটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দু দলের বিজয় সমান। তাই আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার একটা সহজ পথ বের করে ফেলল, সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিল আর সেই সাথে চিরতরে রুদ্ধ হয়ে গেল বিএনপির ক্ষমতায় আসার পথ। তারপর দশ বছর ধরে চললো বিএনপিকে তছনছ করে দেয়ার কাজ। তারপরও নিজেকে ভয়মুক্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। তাই ২০১৮ আর ২০১৮ সালে গণতন্ত্রের নামে দু দুটো নির্বাচনী প্রহসন উপহার দিলো জাতিকে।
    Total Reply(0) Reply
  • MOHD.MUSADDIQUE CHOUDHURY ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    please see what bnp can do if you could arrange a neutral election.
    Total Reply(0) Reply
  • msIqbal ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    এই মুহূর্তে 'একটা কিছু' করার চাইতে 'কিছুই না করাটা'ই বিএনপির জন্য মঙ্গল!
    Total Reply(0) Reply
  • msIqbal ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    এই মুহূর্তে 'একটা কিছু' করার চাইতে 'কিছুই না করাটা'ই বিএনপির জন্য মঙ্গল!
    Total Reply(0) Reply
  • Aminul ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    রাজনীতিতে রাগ কিংবা অভিমানের কোন স্থান নেই। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা হল এক জীবনপণ যুদ্ধ। তাই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরাস্ত হয়ে গুটিয়ে গেলে কিছুই হবে না। বিএনপি কিংবা ঐক্যফ্রন্টের সংসদে না যাবার বর্তমান সিদ্ধান্তগুলো সেরকমই মনে হচ্ছে। গাইবান্ধার আসনে যদিও জিতার সম্ভাবনা নাই তবুও ঐক্যফ্রন্টের উচিত ছিল নির্বাচনে থাকা। আর অবশ্যই শপথ নিয়ে সংসদে থাকা উচিত তাদের। অন্যথায় বিএনপির বাইরে অন্য কোন শক্তিই হয়তো উঠে আসবে। নেতৃত্বের সংকটে থাকা বিএনপি হয়তো মুসলিমলীগের মতো হারিয়েই যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • HMF Hossain ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    বিএনপির মতো এতো বড়ো একটি দলকে কোন দিনই শেস করা যাবেনা, আজ বা কাল কিন্তু ঠিকই উঠে দাড়াবে। মনে রাখবেন এই দেশে দল দুটি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি।
    Total Reply(0) Reply
  • তাসলিমা বেগম ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    আর কি করবে, আগের মতই সংবাদ সম্মেলন করবে
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Shahriar Zaman ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    good suggestion but BNP should walk alone to get some confidence back.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    BNP have dug their own hole.So no worries about them as madam and Tareq are welcoming their supporters to stay in there with them.
    Total Reply(0) Reply
  • Rajib Ahmed ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    অসাধারণ লিখেছেন। বিশেষ করে শেষের লাইন- “কোনো রকম খোয়াব না দেখে, মাটির ওপর দাঁড়িয়ে তাঁরা যেন পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেন এবং প্রতিপক্ষের শক্তিকে যেন খাটো করে না দেখেন”
    Total Reply(0) Reply
  • আশরাফুল ইসলাম ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    বিএনপি কে ঢেলে সাজাতে হবে, দলের ভেতরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে নেতৃত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখতে হবে। নতুন গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বই পারে এই বিএনপি কে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে। বিএনপির ভিশনেও অনেক সমস্যা আছে, একটা যুগোপযোগী ভিশন জাতির সামনে তুলে না ধরতে পারলে জাতির মনোযোগ আকর্ষণ করা যায় না। ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ/দিন বদলের সনদের কথা বলে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পেরেছিল, অপরদিকে বিএনপি দিয়েছিল দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন! সময়ের ভাষা পড়তে না জানলে, নিজেকে এবং দলকে আপডেট রাখতে না পারলে বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার!
    Total Reply(0) Reply
  • Zibanta zannat ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
    Birth leads to death . The way of coming in lead the way of going out. Following that the said party will be vanished without any sound.
    Total Reply(0) Reply
  • Zulfiqar Ahmed ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সকল নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়া উচিত। পুন:নির্বাচন চেয়ে কোনো লাভ হবে না। এছাড়া ভবিষ্যতে যেসব উপনির্বাচন হবে, সেগুলোতেও অংশ নিয়ে সংসদে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে এছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • মোশারফ ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:২৫ এএম says : 0
    বি এন পি ক্ষমতাই এসেছে বারবার পরের কাঁধে বন্দুক রেকে এখন তাদের আসা হাসিনাতে কেউ মেরে দেখ তারেক জিয়া দেশে এসে বড় নেতা সেজবে
    Total Reply(0) Reply
  • MD MONIRUL ISLAM ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৪৮ এএম says : 0
    আপনি কেন সাহসীকতার সহীত সত্য কথা বলতে পারলেন না ? কারন ভয় লেখাটা ছাপা হবে কিনা। কর্মীদের ভয় খুন হওয়ার অথবা জেলে যাওয়ার এর যে কোনটা হলে তার পরিবারের কি হবে? আর কোন ভদ্র দেশে মাঠ দখল বা শক্তি প্রদর্শন এর প্রয়জন হয় না। আমাদের কেন প্রয়জন হবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Robiul Islam Manik ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫৫ এএম says : 0
    Informative.keep it up.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন