নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ আলী গত ৩ জানুয়ারী এ পার্থিব জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরকালের জন্য না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারিয়েছে এমন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ এবং দেশপ্রেমিক নেতা যাঁর নাম জনগণ বহুদিন ধরে স্মরণ রাখবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁর সাথে পরিচিত ছিলাম না। পরিচিত ছিলাম তাঁর মরহুম পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ও ভাষা আন্দোলনের জনক তমদ্দুন মজলিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য এবং সেই সূত্রে তমদ্দুন মজলিসের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাÐের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।
পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অদম্য ও প্রথম দিকের নেতা-কর্মীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সুবাদে তাঁদের অনেকেই ১৯৪৭ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত সিলেট গণভোটে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও সিলেটে যেতে পারেননি। কিন্তু সৈয়দ নজরুল ইসলাম সিলেট গণভোটে যান। যে আদর্শিক মন-মানসিকতা নিয়ে সে সময় তারা তমদ্দুন মজলিস গঠনের কথা চিন্তা করছিলেন সে ধরনের আর্দশিক মন-মানসিকতার কোন ব্যক্তি সিলেট গণভোট পান কিনা, তা দেখতে অনুরোধ করেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলামকে। সিলেট গণভোটে গিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সন্ধান পান খ্যাতনামা কথা শিল্পী শাহেদ আলীর এবং তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেমের কথা তাঁকে জানান। শুধু তাঁকে অধ্যাপক আবুল কাসেমের কথাই তিনি জানান না অধ্যাপক আবুল কাসেমের পক্ষ থেকে তাঁকে দাওয়াতও জানিয়ে আসেন ঢাকা এলে অধ্যাপক আবুল কাসেমের সঙ্গে অবশ্য অবশ্য যেন তাঁর সাথে দেখা করেন।
এভাবেই কথাশিল্পী শাহেদ আলী অধ্যাপক আবুল কাসেমের সাথে পরিচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলামের কল্যাণে। প্রথম দিকে শাহেদ আলী ফজলুল হক হলে থাকলেও পরে অস্থায়ীভাবে কিছু দিন অবস্থান করলেও পরে তমদ্দুন মজলিসের কাজের সুবিধার জন্য অধ্যাপক আবুল কাসেমের বাসায় ওঠেন। এখানেই শেষ নয়। জনপ্রিয় কথাশিল্পী সাহেদ আলী অল্পদিনের মধ্যেই তমদ্দুন মজলিসের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রূপে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অন্তত আমার সম্পর্কে একথা জোর দিয়ে বলতে পারি যে আমি আগের থেকেই কথা শিল্পী শাহেদ আলীর গল্পের মুগ্ধ পাঠক ছিলাম বিধায় তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয় না হলে আমি বোধ হয় কোন দিনই তমদ্দুন মজলিসে যোগ দিতাম না।
১৯৪৭ সালে আমি ঢাকা সরকারী ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে সরকারী নজরুল কলেজ) থেকে আই-এ পাস করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তির অপেক্ষায় ছিলাম। সেই সুত্রেই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অনুতিদূরে পুরাতন রেডিও অফিস (বর্তমানে বোরহানউদ্দীন কলেজ) এর অনুতিদূরে শাহেদ আলীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় আমার এক ক্লার্স উপরের ছাত্র এনামুল হকের মাধ্যমে। এই এনামুল হক ছিলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার বাসিন্দা। তমদ্দুন মজলিসের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিকের প্রথম দিকের সম্পাদক ছিলেন শাহেদ আলী ও এনামুল হক।
শাহেদ আলীর সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়ার পর আমি তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠেছিলাম। সোভাগ্যক্রমে সে সুযোগও এসে গেল একদিন। বিশ^বিদ্যালয় থেকে ফিরবার পথে পলাশী ব্যারাকের একটা চায়ের দোকানে শাহেদ আলীকে দেখলাম চা খেতে। যদিও আমার তখনও চা খাওয়ার অভ্যাস হয়নি, আমি চা খাওয়ার অছিলায় তাঁর পাশে গিয়ে বসলাম। এরপর যখন আমরা ফিরছিলাম, আমি আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করলাম, আমি প্রতিদিন যে বাসার পাশ দিয়ে বিশ^বিদ্যালয় যাই, সেই ১৯ নং আজিমপুর রোডেই তিনি থাকেন।
সে সময় ১৯ নং আজিমপুর রোড ছিল তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেমের ব্যক্তিগত বাসা। সেখানে কথাশিল্পী শাহেদ আলীর উঠার ফলে ১৯ নং আজিমপুর রোড বাস্তবে হয়ে ওঠে তমদ্দুন মজলিসের প্রধান দপ্তর।
আমি তখন থাকতাম ১৯নং আজিমপুর রোড থেকে অনুতিদূরে ভাটির মসজিদ নাম এলাকায় পরিচিত এক বাসায়। সেখানে আমি জাগীর থাকতাম এবং নীলুফার খাতুন নামের একটি মেয়েকে পড়াতাম। শাহেদ আলীও একদিন আমার জাগীর বাড়ী দেখতে গেলেন। এভাবে শাহেদ আলীর সুবাদে আমি ১৯ নং আজিমপুর রোড তথা তমদ্দুন মজলিসের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বাড়তে আমি কখন যে তমদ্দুন মজলিসের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে উঠলাম তা নিজেও টের পাইনি।
তখন ১৯ নং আজিমপুর রোড ছিল তমদ্দুন মজলিসের প্রধান কার্যালয় এবং সেখানে অনুষ্ঠিত হতো নিয়মিত সাহিত্য সভা ও সমাজ সম্পর্কিত আলোচনা সভা। এখন সেখানে আজিমপুর কলোনী সেখানে এভাবে কলোনী হয়ে গড়ে না উঠলেও সেখানে ছাত্র হিসাবে থাকতেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ, হাসান জামান, কথাশিল্পী শামসুদ্দিন আবুল কালাম নাট্যকার আসকার ইবনে শাইখ প্রমুখ (সেকালের উদীয়মান বর্তমানকালের প্রতিষ্ঠিত) অনেক কবি সাহিত্যিক।
এছাড়া সলিমুল্লাহ হল, ইকবাল হল প্রভৃতি বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রবাস অদূরে অবস্থিত হওয়াতে ১৯ নং আজিমপুর রোড হয়ে উঠেছিল কবি সাহিত্যিক শিল্পী লেখকদের নিয়মিত মিলন-স্থ। শুধু সেকালের উদীয়মান কবি-সাহিত্যিকরাই যে ১৯ নং আজিমপুর রোডে তমদ্দুন মজলিস অফিসে আসতেন তা নয়। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. কাজী মোতাহার হোসেন, প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খান মতো প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীরাও এসব অনুষ্ঠানে আসতেন। শুধু তাই নয় প্রবীণ ও উদীয়মান কবি-সাহিত্যিকদের মাঝামাঝি বয়সের কবি সাতিহ্যিকরাও (যাদের মধ্যে পড়তেন ফররুখ আহমদ আবদুল হাই মাশরেকী নাট্যকার, আসকার ইবনে শাইখ, কবি আবদুল হাই মাশরেকী, চৌধুরী লুৎফর রহমান, রওশন ইজদানী প্রমুখ কবি সাহিত্যিকরাও আসতেন।
বিশেষ করে প্রবীণ সাহিত্যিকদের নিয়ে মাঝে মাঝে আমরা বেশ উপভোগ্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হতাম। যেমন একদিন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক ও সাহিত্যিক ড. কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে একটি ঘটনা আমার এখনও স্পষ্ট পড়ে। একদিন তাঁর এক সাহিত্য সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর ছিল দাবা খেলার অভ্যাস। যারা খেলা একবার শুরু করলে তিনি সব কিছু ভুলে যেতেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁকে দেখতে না পেয়ে আমি তাঁর বাসায় খোঁজ নিতে গেলাম। আমাকে দেখে তাঁর মনে হল আমাদের সাহিত্য সভার কথা। তিনি আমার দিকে এমন অসহায়ভাবে তাকাতে লাগলেন যেন একটা অন্যায় কাজ করতে গিয়ে তিনি ধরা পড়ে গেছেন। আমি তাঁকে না নিয়েই চলে আসতে বাধ্য হলাম।
এমন সব ঘটনা শুধু কাজী মোতাহারের হোসেনের মতো প্রবীণদের বেলাই ঘটতো না। ঘটতো আসকার ইবনে শাইখ, কবি আবদুল হাই মাশরেকী প্রমুখ। মাঝারি বয়সের কবি সাহিত্যিকদের বেলায়ও।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে ঢাকায় নজরুল জয়ন্তী আগেও হতো তবে নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান করার প্রথম কৃতিত্ব শুধু তমদ্দুন মজলিসেরই প্রাপ্য। ১৯৫১ সালে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগেই ঢাকায় সর্বপ্রথম দুই দিন ব্যাপী নজরুল জয়ন্তীর আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে। এর প্রথম দিন কবি নজরুলের জীবনী অবলম্বনে কবি আবদুল হাই মাশরেকী রচিত “দু:খু মিয়ার জারী” নামের জারীগান গান পরিবেশিত হয় কার্জন হলের মঞ্চে। সেখানে গ্রাম্য জারী গায়কদের মতো লুঙ্গীপরে গামছা মাথায় বেঁধে নেচে নেচে জারী গান পরিবেশন করেন কবি আবদুল হাই মাশরেকী নাট্যকার, আসকার ইবনে শাইখ, চট্টগ্রামের নাট্যশিল্পী সাদেক নবী এবং অধুনা লুপ্ত দৈনিক বাংলার সাংবাদিক (সহকারী সম্পাদক) মোস্তফা কামাল প্রমুখ। দ্বিতীয় দিন নজরুল ইসলামের উপন্যাস’ মৃত্যু ক্ষুধাঁর এর আসকার ইবনে শাইখকৃত নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করা হয় কার্জন হল মঞ্চে। এই নাটকটি পরিচালনা করেন স্বয়ং নাট্যকার আসকার ইবনে শাইখ। কার্জন হল মিলনায়তনে এই নাটকের দশকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ড. কাজী মোতাহার হোসেন। তিনি নাটকটির সফল মঞ্চায়নের অত্যন্ত খুশী হন এবং তার এই সন্তুুষ্টির কথা আমাদের অবহিত করে উৎসাহিত করেন।
তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে অনেকের ধারণা তমদ্দুন মজলিস বুঝি আদর্শ সম্পর্কে অসচেতন একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা। এ ধারণা সঠিক নয়। তমদ্দুন মজলিস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পর ১৯৪৭ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর। তমদ্দুন মজলিস বিশ্বাস করে কোন রাষ্ট্র সুন্দর আদর্শিক ভিত্তি ছাড়া সফল হতে পারে না এবং যে কোন সফল রাষ্ট্রের সফল আদর্শিক ভিত্তি গড়ে তুলতে আদর্শবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কোন বিকল্প থাকতে পারে না।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ মুখে পাকিস্তানকে আদর্শ বলে দাবী করলেও স্থান ও সময়ের আলোকে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন তা বুঝে উঠতে পারতেন না বলে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যে তার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে জনসমর্থনশূণ্য পকেট মুসলিম লীগে পরিণত হয়ে পড়ে। এর ফলে পাকিস্তানে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সে সবের মধ্যে ইসলাম বিরোধী প্রবণতা গড়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে তমদ্দুন মজলিস একেবারেই আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তমদ্দুন মজলিস ছিল যুগপৎ একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা ও আদর্শবাদী আন্দোলন। তৌহিদী আদর্শে বিশ্বাসী এই সংস্থার লক্ষ্য বর্তমান মানবতাবিরোধী সমাজ ব্যবস্থায় গড়া বিকৃত ও জনবিরোধী সংস্কৃতি-সংস্কার ও মানবতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীলতা দূর করে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সুখী ও সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং গণজীবনে মনোবিপ্লব সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃত ইসলামী আদর্শে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তোলো। আদর্শের উপর গুরুত্ব দেয়ার কারণে তমদ্দুন মজলিস যে জনপদে এই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে এই সেই জনপদের স্থানীয় প্রয়োজনের বাস্তব বৈশিষ্ট্য মজলিস কখনোও ভুলে যায়নি। বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে যে জনপদে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় তার ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে পাকিস্তান অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা কী হবে, এ নিয়ে মজলিস সচেতন থাকায় তমদ্দুন মজলিসের প্রথম কর্মসূচি ছিল ভাষা আন্দোলন। অপর দিকে তমদ্দুন মজলিসের আদর্শের সন্ধান মেনে “একমাত্র পথ” নামক পুস্তকে যেখানে প্রমাণ করা হয় ইসলামই একমাত্র আদর্শ, যা ভাষা, বর্ণ, ভৌগলিক প্রশ্নে সকল আধিপত্যবাদের ঊধ্বে একমাত্র সার্বজনীন সাম্য ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে মানবতাকে সকল প্রকার সংর্কীণতা ও আধিপত্যবাদের অবসান ঘটিয়ে মানুষকে সার্বজীবন সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শ উপহার দিতে সক্ষম। তাই যদিও পাকিস্তানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে মজলিস প্রথম দিকে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব বিবেচনায় আনতে বাধ্য হয় এর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ইসলামের সার্বজনীন মানবতার প্রতিষ্ঠা। একারণে অশান্তি বিক্ষুব্ধ বর্তমান বিশ্বে মজলিসের আদর্শবাদী আন্দোলনের গুরুত্ব আজও শেষ হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।