মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক জন বিজেপিতে যোগ দিয়েই দিয়েছেন। অন্য জনও পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে জল্পনা। দু’জনকেই একসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার ঘোষণা করলেন, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান এবং বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
বুধবারই দিল্লিতে সদর কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান। ফলে সৌমিত্রর বহিষ্কার কার্যত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে বোলপুরের সাংসদ অনুপমকেও দল থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল।
তৃণমূলের ইতিহাসে বহিষ্কারের ঘটনা এই প্রথম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘সৌমিত্রর কার্যকলাপে দল গত অনেক দিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিল। গত এক বছর ধরে সংগঠনের সঙ্গে সৌমিত্রর কোনও যোগাযোগও ছিল না।’ বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা সম্পর্কেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য একই রকম। অনুপম সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সব পোস্ট করছিলেন, এক কিছু কার্যকলাপ করছিলেন, যা তৃণমূলের নীতির সঙ্গে মেলে না, জানান পার্থ। সেই কারণেই অনুপমকেও ‘সরিয়ে দেওয়া হল’ বলে তৃণমূল মহাসচিব এ দিন জানিয়েছেন।
বিজেপির একটি অংশের দাবি, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাদের দলে যোগ দিতে প্রস্তুত। সৌমিত্র খান, অনুপম হাজরা-সহ অন্তত ৬ জনের নাম সেই তালিকায় রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি যখন দেশের অনেকগুলো বিরোধী দলকে নিয়ে ব্রিগেডে বিশাল সমাবেশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই দিল্লিতে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত ওই সাংসদদের যোগ দেওয়ানো হবে বিজেপিতে— এমনই পরিকল্পনা বিজেপি নেতৃত্বের ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পূর্ণ অজানা ছিল, এমন নয়। এমন এক পরিস্থিতিতেই সৌমিত্র খানের সহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সৌমিত্রকেও গ্রেফতার করা হতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই কারণেই আর ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সৌমিত্র তড়িঘড়ি বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিলেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের একটি অংশ মনে করছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আরও অনেকেই আসবেন। আমি আগেই বলেছিলাম, জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার পরে দেখুন কি হয়। তৃণমূলের অনেকেই বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।